ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে চট্টগ্রামে দিনভর বৃষ্টি হয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই কখনো মুষলধারে, কখনো থেমে থেমে বৃষ্টি পড়ছে। মঙ্গলবারও চট্টগ্রামে বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা আছে। তাছাড়া আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে দেশের অনেক এলাকায় বছরের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। অসময়ে বৃষ্টি হওয়ায় অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগামী শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। কোথাও কোথাও সড়কে জমেছে পানি।
পতেঙ্গা আবহওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রামে ১৫ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপ ‘জাওয়াদ’ আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে ঘুচাপে পরিণত হয়েছে। লঘুচাপটি বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলী এলাকায় অবস্থান করছে। সাগর উত্তাল থাকায় মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘জাওয়াদ’ আরও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। তবে এর প্রভাবে মঙ্গলবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। নিম্নচাপের প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিযে যেতে বলা হয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অফিস-আদালত, কর্মজীবী মানুষ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগামী শিক্ষার্থীদের পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে। বৃষ্টির কারণে সকাল থেকেই নগরীর সড়কগুলোতে যান চলাচল ছিল সীমিত। রাস্তায় যাত্রীও ছিল কম। সড়কে ছিল কেবল রিক্সা। বৈরী আবহাওয়ার দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষদের। বৃষ্টি আর ঠাণ্ডার প্রকোপে থেমে গেছে জনজীবন।
বিডি প্রতিদিন/এএম
