৩ জুলাই, ২০২২ ২২:৩০

'জনগণের কল্যাণে গবেষকদের টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে'

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:

'জনগণের কল্যাণে গবেষকদের টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে'

পরিবেশ ও বনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ‘বর্তমানে টেকসই উন্নয়নে গবেষকদের দেশ ও জনগণের কল্যাণে টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকারক দিক মোকাবিলায় বন ও বনজ সম্পদ বিষয়ক গবেষণা জরুরি। সরকারের বদ্বীব পরিকল্পনা ২১০০, মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্লান ২০৩০, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১, এসডিজি ২০৩০, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন পরিকল্পনায় গবেষণাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া নবযোগদানকৃত গবেষকদের মাধ্যমে বিএফআরআই বনবিষয়ক গবেষণায় আরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।  

বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএফআরআই) নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত গবেষণকদের জন্য ‘ফরেস্ট্রি রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ১৪ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

বিকালে ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে  আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএফআরআই এর পরিচালক ড. রফিকুল হায়দার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ) মো. মিজানুল হক  চৌধুরী এবং এশিয়া প্যাসিফিক প্রোগ্রাম ম্যানেজার জাস্টিন গ্রিন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন বিএফআরআই এর পাবলিসিটি অফিসার এয়াকুব আলী।   

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউএস ফরেস্ট সার্ভিসের জাস্টিন গ্রিন বলেন, ‘ইএস ফরেস্ট সার্ভিস যেহেতু প্রকৃতি, বন ও বনজ সম্পদ বিষয়ক গবেষণা ও প্রশিক্ষণে সহযোগিতা প্রদান করে থাকে। তাই বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটকে বন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সে সহযোগিতা প্রদান করতে পেরে আনন্দিত। ভবিষ্যতেও ইউএস ফরেস্ট সার্ভিসের এ সহযোগিতা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।  

অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুল হক চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে হলে গবেষণা ছাড়া গত্যন্তর নেই। বিএফআরআই বন বিষয়ক গবেষণায় ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। নবযোগদানকৃত গবেষকগণ ভবিষ্যতেও গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে ভূমিকা রাখবে।’

বিডি প্রতিদিন/এএম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর