অপরূপ প্রকৃতি। নান্দনিক সাজ। সাগরের আছড়ে পড়া ঢেউ। ঢেউয়ের সঙ্গে ঢেউয়ের মিতালি। সাগরের কোলে নীল-সবুজ আঙিনা। সঙ্গে আছে নানা অনুষঙ্গ। প্রকৃতির এমন মনোরম পরিবেশ নিয়েই রূপ খুলেছে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত। সমুদ্র এবং প্রকৃতি প্রেমিদের এই বিনোদন কেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।
ঈদের দিন বিনোদন কেন্দ্রগুলো কিছুটা ফাঁকা ছিল। কিন্তু ঈদের পরদিন থেকে শুরু হয় বিনোদন কেন্দ্রের মুখরতা। ঈদের ছুটিতে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষের ভিড়ে মুখর।
চট্টগ্রামের সমুদ্রসৈকত পতেঙ্গা বিচ, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, নেভাল, ফয়’স লেক, চট্টগ্রাম শিশু পার্ক, কর্ণফুলী সেতু, কর্ণফুলী নদীর পাড়, কর্ণফুলী নদীর নেভাল-২, জাম্বুরি পার্ক, সিআরবি, ডিসি হিল, সদর ঘাট, অভয়মিত্র ঘাট, বায়েজিদ লিংক রোড, মেরিন ড্রাইভ, আউটার লিংক রোডসহ বিভিন্ন পার্কে সমাগম ঘটে বিভিন্ন বয়সী মানুষের। গত দুই বছর করোনা মহামারির কারণে মানুষ বিনোদন কেন্দ্রে যেতে না পারায় এবার হুমড়ি খেয়ে পড়েছে।
জানা যায়, গত সোমবার পতেঙ্গা সৈকতে যেন তৈরি হয় জনস্রোতে। হাজারো মানুষের মিলনমেলায় কেউ নামেন সমুদ্র স্নানে, কেউ চড়েন স্পিডবোটে, কেউ চড়েন ঘোড়ার পিঠে। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি সাগরের সঙ্গে লাগোয়া মেরিন ড্রাইভেও মানুষের সমাগম ঘটে। অনেকেই সৈকতে প্রবেশ না করে সড়কের পাশের সমুদ্র তীরে ঘুরছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে নেয়া হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকেও নেয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
সিআরবির দর্শনার্থী মায়মুনা আনজুম বলেন, ঈদের বন্ধে বিনোদন কেন্দ্রে বেড়ানোটা আনন্দকে দ্বিগুণ করে দেয়। তাই বন্ধের সময় ঘুরে বেড়ানোটা কোনো মতেই মিস করি না।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবীর হোসেন বলেন, মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে বিনোদন করতে পারেন, তাই পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সৈকতে ফুট পেট্রোল, মোটর সাইকেল ও মোবাইল টহল বাড়ানো হয়েছে। নারী পর্যটকরা যাতে কোনো হয়রানির শিকার না হয়, তার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ফয়’স লেক এমিউজমেন্ট পার্কের উপ-ব্যবস্থাপক (বিপনন) বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ঈদের দিন বেলা ২টা থেকে ফয়’স লেক ও সি ওয়ার্ল্ড খোলা হয়েছে। গত সোমবার সকাল থেকে লোক সমাগম বেড়েছে।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, গতকাল সোমবার একদিনেই প্রায় ১৫ হাজারের মত দর্শনার্থী চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করেছেন। সবাই চিড়িয়াখানার সাদা বাঘ, উট পাখি, এমুপাখি, জেব্রাসহ বিভিন্ন পাখিগুলো দেখছেন। দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি পালনে সতর্ক করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর