চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি মোড় থেকে নিউ মার্কেট। স্বাভাবিক সময়ে এখানে যানবাহন গিজ গিজ করে। থাকে যানজট। ফুটপাত দিয়েও হাঁটা দায় হয়ে পড়ে। যানবাহন চলে মন্থর গতিতে। কিন্তু আজ বুধবার দুপুরে এসড়কে যানবাহনের সংখ্যা কেবলই হাতেগুণা। সড়কটি ফাঁকা। নিউ মার্কেট থেকে জুবিলী রোড সড়কটিও সাধারণ সময়ে যানজটে অস্থির থাকে। আজ এটিও অনেকটা ফাঁকা।
গত সোমবার ঈদুল আজহার তিনদিনের ছুটি শেষ। মঙ্গলবার থেকে পুরোদমে অফিস-আদালত-ব্যাংক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু হয়। কিন্তু অনেক জায়গায়ই এখনও ঈদের আমেজ চলছে। গ্রাম থেকে কর্মস্থলে যোগ দিতে আসলেও তা সংখ্যায় কম। তাই বাণিজ্যিক শহরে ফিরেনি চিরাচরিত আপন চিত্র। ফলে নগরের ব্যস্ত সড়কগুলোতে নেই নিত্যদিনের যানজটের দৃশ্য। এখনও বন্ধ অনেক দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অনেকের পরিবার এখনও গ্রামেই। তাই নগর অনেকটাই ফাঁকা। ফলে যানবাহন চলছে আপন গতিতে।
নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী আনিস আহমেদ বলেন, ঈদের ছুটি শেষ হলেও এখনও আমেজ থেকে গেছে। কারণ এখনও অনেকে শহরে আসেনি। কেউ কেউ বাড়ি থেকে আসা-যাওয়া করে অফিস বা ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। এই সপ্তাহ এভাবে চলে যাবে। আগামী রবিবার থেকে হয়তো পুরোদমে শুরু হবে জীবনযাত্রা।
অন্যদিকে, সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলো খোলা হলেও অফিসে এখনও চলছে ঈদের আমেজ। উপস্থিত অনেকে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও গল্প করে সময় পার করছেন। আবার অনেকে বাড়তি ছুটি নিয়ে বাড়িতে ঈদ করতে গেছেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, গত মঙ্গলবার থেকেই অফিস পুরোদমে শুরু হয়। বুধবার অফিসে গণশুনানি চলেছিল। শুনানিতে নির্ধারিত ব্যক্তিরা উপস্থিত হয়েছেন। বুধবার নগরের অনেক সড়ক ও মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, সড়কে কম যানবাহন। কম সংখ্যক যানবাহনই এখন চলছে সড়কে। নেই যানবাহনের ছুটোছুটি, নেই যানজটের চিরচেনা দৃশ্য।
অন্যদিকে, নগরের অনেক মার্কেট-বিপণি বিতান খুললেও দোকানগুলো খুলেনি। টেরিবাজার, নিউ মার্কেট, রেয়াজুদ্দিন বাজারসহ বিভিন্ন মার্কেটে অনেক দোকান এখনও বন্ধ। টেরিবাজারের ব্যবসায়ী মুহাম্মদ সেলিম উল্লাহ বলেন, মার্কেট খুলেছে। কিন্তু এখনও অনেক দোকান বন্ধ। এখন ব্যবসা তেমন একটা চলবে না। ক্রেতারা এখনও শহরমুখী হয়নি। আগামী রবিবার দোকান খোলা হবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর