চলতি অর্থবছরে অস্থায়ী কর্মীদের জন্য বরাদ্দ নেই উল্লেখ করে কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ফলে দীর্ঘ দিন কাজ করার পরও স্থায়ী হতে না পেরে উল্টা ছাঁটাইয়ের শিকার হয়ে বেকায়দায় পড়েছেন রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকরা। বিষয়টি নিয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছেন। রেলের বিভিন্ন দফতরে চাকরি স্থায়ী করতে ধর্না দিয়ে যাচ্ছেন।
রেলের অস্থায়ী শ্রমিকরা বলছেন, উচ্চ আদালতের একাধিক রায়ে রেলওয়ের এক হাজারেরও বেশি অস্থায়ী কর্মচারীকে স্থায়ী করতে বলা হলেও নির্দেশনা বাস্তাবয়ন করেনি রেলওয়ে। উল্টো নতুন করে বিভিন্ন পদে লোক নেয়া হচ্ছে। এতে চরম ক্ষুদ্ধ রেলের অস্থায়ী শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের দাবি, আইন অনুযায়ী নিরবিচ্ছিন্নভাবে তিন বছর অস্থায়ী পদে কর্মরতদের রাজস্ব খাতে স্থায়ীকরণের নিয়ম রয়েছে। অস্থায়ী শ্রমিক কর্মচারিদের মধ্যে ১০ বছর ধরে কাজ করছেন এমনও অনেকে আছেন। তাদের নতুন চাকরির জন্য আবেদনেরও বয়স নেই। ফলে তাদের স্থায়ী না করলে পথে বসার উপক্রম হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন জানান, আউটসোর্সিয়ের মাধ্যমে নতুন কর্মী নিয়োগ না দিয়ে পুরনোদের স্থায়ী করার জন্য ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী, রেলপথ মন্ত্রী, সচিব ও মহাপরিচালকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্টেশনে আন্দোলন করছেন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। এরপরও ছাঁটাই অব্যাহত আছে। এতে শ্রমিকরা ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন।
রেলের এক শ্রমিক নেতার দেওয়া তথ্য বলছে, গত ৩০ জুন এক চিঠির মাধ্যমে চট্টগ্রাম সিআরবিতে হিসাব বিভাগে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত ৮০ জন, অন্যান্য দফতরের ১৩০ জনসহ লালমনিরহাট, চট্টগ্রামের সিজিপিওয়াই লোকো শাখাসহ সারা দেশে অস্থায়ী শ্রমিকদের অব্যাহতি দেয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন দাবি করেছেন, অস্থায়ী শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের বিষয়টি আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বাস্তবায়নাধীন। আইন শাখার অনুমোদন নিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে একাধিক কমিটিও গঠন করা হয়েছে। যেসব নতুন শ্রমিক নেওয়ার বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে সেগুলো চতুর্থ শ্রেণির। এদের সাথে আগের অস্থায়ী কর্মীদের ছাঁটাইয়ের কোনো সম্পর্ক নেই।
বিডি প্রতিদিন/এএম