চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়ামে এক সময় নানা মেলার দখলে ছিল মাঠ। মাঠের চারপাশে ছিল অবৈধ সব স্থাপনা, যা সৌন্দর্য্যহানি করেছে নগরেরও। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান দায়িত্ব নিয়েই সেসব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেন। দখলমুক্ত করার পর এবার নতুন করে মাঠ সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে শুরু হচ্ছে নবরূপে আউটার স্টেডিয়ামের সাজানোর কাজ। পুরো মাঠ ও আশেপাশে নতুনভাবে সাজাতে চায় সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, আউটার স্টেডিয়ামের বর্তমান আয়তন ১১ হাজার বর্গফুট। এর মধ্যে ৮ হাজার বর্গফুটে হবে ফুটবল খেলার মাঠ। মাঠের চারপাশে ক্রিকেট নেট প্র্যাকটিস, ভলিবলসহ নানা খেলাধুলার জন্য ব্লক থাকবে। সুইমিং পুলের দেয়ালের দিকে হবে নেট প্র্যাকটিস ব্লক। স্টেডিয়ামের গ্যালারির দিকে ১৫০ থেকে ২০০ লোকের বসার জন্য গ্যালারি এবং সার্কিট হাউজ প্রান্ত ও নুর আহমদ চৌধুরীর প্রান্তে হবে ওয়াকওয়ে। এছাড়া বাকি জায়গায় টয়লেট সুবিধা, ড্রেসিং রুম এবং বসার জায়গা থাকবে।
শুক্রবার আউটার স্টেডিয়ামের উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও সিজেকেএস সভাপতি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ও সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন।
এসময় জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, আমরা আউটার স্টেডিয়ামকে ফুটবল মাঠ হিসেবে ব্যবহার করতে চাই। এখানে যাতে ফুটবলের পাশাপাশি অন্যান্য খেলার প্র্যাকটিস হয় সেসব আয়োজন রাখতে চাই। একইসঙ্গে ওয়াকওয়ে হবে। এক থেকে দুই মাসের মধ্যে আমরা মাঠে ফুটবল টুর্নামেন্ট করতে চাই। এজন্য শিগগিরই মাটি ভরাট ও ঘাস লাগানোর কাজ শুরু হবে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। আজ আমরা এ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি। আউটার স্টেডিয়াম থেকে আকরাম, নান্নু, আশিষ ভদ্র, তামিম, আফতাবদের মতো অনেকেই উঠে এসেছে। আবার আউটার স্টেডিয়ামের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান, সিজেকেএস সহ-সভাপতি লায়ন দিদারুল আলম চৌধুরী, একেএম এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, সিজেকেএস যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ও মশিউর রহমান চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, নির্বাহী সদস্য সৈয়দ আবুল বশর প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল