চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে ৬ উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া, বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নের গাছচাপায় ৭০ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করে হামুন। এ সময় উপকূলীয় উপজেলা- বাঁশখালী, আনোয়ারা, সন্দ্বীপ, মীরসরাই, সীতাকুণ্ড এবং কর্ণফুলীতে ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে বাঁশখালীতে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়। লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বাঁশখালী উপকূলীয় লাইব্রেরি।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের ৬টি উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। একজন নারী নিহত ও প্রায় ৮৫ জন আহত হন। তাছাড়া, বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছপালা উপড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। চট্টগ্রামের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বাঁশখালীর সড়ক যোগাযোগ। তাছাড়া, বিভিন্ন উপজেলার ২৫টি ইউনিয়নে এক লাখ ১১ হাজার মানুষ হামুনের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪ হাজার ৭৮৪টি বাড়ি আংশিক এবং ২৮৩টি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। বনাঞ্চলে গাছপাড়া বিধ্বস্ত হয়ে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বাঁশখালী গণ্ডামারা এলাকা বাসিন্দা সাইফি আনোয়ার বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে লণ্ডভণ্ড বাঁশখালীর উপকূলীয় অঞ্চল। পুরো বাঁশখালী বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন।
কয়েক হাজার বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত। হাজার হাজার গাছপালা উপড়ে যায়। এসময় বাঁশখালীর প্রধান সড়কে শতশত গাছ উপড়ে পড়ে। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বাঁশখালীর ছনুয়া, গন্ডামারা, শেখেরখীল, বাহারচরা, খানখানাবাদ ও কাথারিয়া ইউনিয়নের বাড়ি-ঘর, ফসল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকের বাড়ি-ঘরের উপর বড় বড় গাছ পড়ে।
চট্টগ্রামে জেলা ও ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার বলেন, ‘উপকূলীয় ছয় উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক চিত্র পেয়েছি। সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ, পটিয়ায়ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক কয়েকটি উপজেলায় বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। এ জন্য পূর্ণাঙ্গ তথ্য আমরা এখনও পাইনি।
বিডি প্রতিদিন/এএম