সাধারণ জনগণের জন্য উম্মুক্ত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। রবিবার সকাল ৬ টায় বহুল প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে সর্বসাধারণের জন্য উম্মোচন করা হয় টানেলের দ্বার।
বঙ্গবন্ধু টানেলের উপ-প্রকল্প পরিচালক মো আবুল কালাম আজাদ বলেন, রবিবার সকাল থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে টানেল। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৭৮৭ টি গাড়ি টানেল ব্যবহার করেছে। ব্যবহারকারী গাড়িগুলো থেকে টোল আদায় করা হয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার ৫৫০ টাকা। ২৪ ঘণ্টাই টানেল খোলা থাকবে।
রবিবার ভোর থেকেই টানেল পাড়ি দেয়ার প্রতীক্ষায় টানেলের দুই প্রান্তে ভিড় করতে থাকে যানবাহন। প্রথম টানেল পাড়ি দেয়ার ইতিহাস গড়ার প্রতীক্ষায়ও ছিলেন কেউ কেউ। সেই প্রতীক্ষার অবসায় হয় সকাল ৬টায়। আনোয়ারা প্রান্ত থেকে মুন্সিগঞ্জের ব্যবসায়ী জুয়েল মাইক্রোবাস নিয়ে প্রথম টানেল অতিক্রম করেন। টানেল খুলে দেয়ার পর ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টায় ৭২টি গাড়ি চলাচল করে। এতে টোল আদায় হয় ১৯ হাজার ৫০ টাকা। পরের এক ঘণ্টায় ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত ৪৯টি গাড়ি অতিক্রম করে। এতে টোল আদায় হয় ১১ হাজার ২০০ টাকা। এরআগে টানেল পারাপারের জন্য টোল নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার সরকার। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী- জিপ বা পিকআপের জন্য ২০০ টাকা এবং মাইক্রোবাসের জন্য টোল ২৫০ টাকা। বাসের ৩১ আসন বা এর কম হলে টোল ৩০০ টাকা, ৩২ আসন বা তার বেশি হলে ৪০০ টাকা এবং ৩-এক্সেল বাসের জন্য টোল ৫০০ টাকা। ট্রাক-৫ টন পর্যন্ত ৪০০ টাকা, ৮ টন পর্যন্ত ৫০০ টাকা এবং ৮ থেকে ১১ টনের ট্রাকের টোল ৬০০ টাকা। মালবাহী ৩ এক্সেল ট্রেলারের টোল ৮০০ টাকা, ৪ এক্সেল ট্রেলারে ১ হাজার টাকা এবং ৪ এক্সেলের বেশি প্রতি এক্সেলের জন্য ১ হাজারের সঙ্গে ২০০ টাকা যোগ করে টোল দিতে হবে।
বেলায়েত হোসেন নামে এক টোল ম্যানেজার বলেন, যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার পর প্রথম এক ঘণ্টা একটু বেশি যানবাহন ছিল। পরে কিছুটা কমে। আশা করছি সোমবার থেকে অধিক পরিমাণ গাড়ি টানেল ব্যবহার করবে।
আনোয়ারা প্রান্ত থেকে পার হওয়া যাত্রী জুয়েল রানা বলেন, টানেলের প্রথম যাত্রী হওয়ার ইচ্ছা ছিল। তাই দুই দিন আগেই কক্সবাজার গিয়েছিলাম। সেখান থেকে শনিবার রাতে এসে টানেল গেটে অপেক্ষা করতে থাকি। প্রত্যাশা মত প্রথম যাত্রী হিসেবে টানেল অতিক্রম করি। টানেল পার হতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।
এরআগে শনিবার বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রীর বহরের ২১টি গাড়ি টানেল ব্যবহার করে। এসময় প্রধানমন্ত্রী নিজের গাড়ির জন্য ২শ টাকা এবং বহরের বাকি ২০ গাড়ির জন্য ৪ হাজার টাকা টোল দেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল