আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রাম-১৩ আসনের সাবেক এমপি আখতারুজ্জমান চৌধুরী বাবুর ১১ম মৃত্যুবার্ষিকী শনিবার। এ উপলক্ষে মরহুমের পরিবার, চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু রাজনীতিক, শিল্পোদ্যোক্তা, সংগঠকসহ জীবনের নানা ক্ষেত্রে সফলতার পরিচয় দিয়েছেন। দীর্ঘ সময় ধরে ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ছাড়াও জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন চারবার। নবম জাতীয় সংসদে তিনি ছিলেন পাট বস্ত্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি।
১৯৪৫ সালে আনোয়ারার হাইলধর গ্রামে সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন আখতারুজ্জামান বাবু। তাঁর পিতার নাম নুরুজ্জামান চৌধুরী। তিনি আইনজীবী ছিলেন। তাঁর মাতার নাম খোরশেদা বেগম। ব্যক্তি জীবনে ৩ পুত্র ও ৩ কন্যার জনক। তাঁর বড় ছেলে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি বর্তমানে আনোয়ারা-কর্ণফুলী আসনের সংসদ সদস্য ও ভূমিমন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন। মেজ ছেলে আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক। ছোট ছেলে আসিফুজ্জামান চৌধুরী জিমিও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।
আখতারুজ্জামান বাবু ’৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি আনোয়ারা ও পশ্চিম পটিয়া থেকে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য হন। ১৯৭২ সালের সংবিধানের অন্যতম স্বাক্ষরকারী। ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়াও ১৯৮৬, ১৯৯১ এবং ২০০৯ সালে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। চট্টগ্রাম চেম্বারের দু’দফায় প্রেসিডেন্ট ও এফবিসিসিআইর সভাপতি ছিলেন। ওআইসিভুক্ত দেশসমূহের চেম্বারের প্রেসিডেন্ট হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি ৭৭ জাতি গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
বিডি প্রতিদিন/এএম