চট্টগ্রামে আবু বকর সিদ্দিক নামের এক ফ্রিল্যান্সারকে আটক করে ভয় দেখানো ও তার মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে টাকা সরিয়ে নেয়ার অভিযোগে সাত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশনা দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়। গত মঙ্গলবার এই নির্দেশনা দেয়া হয় বলে আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত উপকমিশনার স্পিনা রানী প্রামাণিক।
সিএমপির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১২ মার্চ দেয়া এক নির্দেশনায় ওসি রুহুল আমিন, এসআই মো. আলমগীর হোসেন, এএসআই মো. বাবুল মিয়া, মো. শাহ পরাণ জান্নাত ও মইনুল হোসেন, কনস্টেবল মো. জাহিদুর রহমান, আব্দুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় মামলা দায়েরের নির্দেশ দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন গুলবাগ আবাসিক এলাকা থেকে আবু বকর সিদ্দিক নামের ওই ফ্রিল্যান্সারকে আটক করে ডিবি’র ওসি রুহুল আমিনের নেতৃত্বে একটি দল। পরে তাকে জুয়া খেলার অভিযোগে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হলে জরিমানা দিয়ে জামিন পান তিনি।
আবু বকর সিদ্দিকের অভিযোগ, তার হাতের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে মোবাইলের লক খুলেছিলেন পুলিশ সদস্যরা। ওই রাতে তাকে মনসুরাবাদে ডিবি হেফাজতে রাখা হয়। এসময় তার মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপস থেকে দু’টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১০ লাখ টাকা স্থানান্তর করা হয়। এছাড়া তার বাইন্যান্স অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লাখ ৭৭ হাজার ডলার স্থানান্তর করা হয়েছে।
আবু বকরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো ও ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগে গত ৫ মার্চ ৮ পুলিশ সদস্যসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন আবু বকরের স্ত্রী হুসনুম মামুরাত লুবাবা। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক