ঈদ ঘিরে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত চট্টগ্রামের বাসিন্দারা। নগরীর অভিজাত শপিং মল থেকে শুরু করে ফুটপাত পর্যন্ত সকল শ্রেণির মার্কেটে ধুমছে চলছে কেনাবেচা। ফলে দোকানি-ক্রেতা কারোই এখন দম ফেলার ফুসরত নেই। জামা কাপড় কেনার শেষে জুতো, স্যান্ডেল, প্রসাধনী কেনার পরও কিছু বাকি থেকে যাচ্ছে কিনা সেটা নিয়েও ভাবনার অন্ত নেই ক্রেতাদের।
রমজান মাসের মাঝামাঝি থেকে ক্রেতাদের ভিড় থাকলেও কেনাকাটার পরিমাণ কম ছিলো। তবে ২০ রোজার পর থেকে জমে উঠতে থাকে কেনাকাটা। শুক্র ও শনিবার দিনভর নগরীর শপিং মলগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, এখন ক্রেতারা চেষ্টা করছেন যতো স্বল্প সময়ে নিজের পছন্দের পণ্যটি কেনা যায়। কেউ কেউ পছন্দের জামা খুঁজতে অসংখ্য দোকানে ও মার্কেটে ঘুরলেও বেশিরভাগ ক্রেতা দুই তিনটি দোকান ঘুরে কেনাকাটা শেষ করতে চাইছেন।
চট্টগ্রামের সানমার ওশান সিটি শপিং সেন্টারে কেনাকাটায় ব্যস্ত মোমেনবাগ এলাকার হাফিজুর রহমান বলেন, ‘সময় একেবারেই শেষ। এখন আর দোকানে দোকানে ঘোরার সুযোগ নেই। কিন্তু কেনাকাটা বাকি থেকে গেছে। তাই দ্রুত সময়ে কেনাকাটা করার চেষ্টা করছি।’
পার্শ্ববর্তী ইউনেস্কো শপিং কমপ্লেক্সে কেনাকাটা করছিলেন হালিশহরের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানের ৫ জন কর্মীর জন্য পাঞ্জাবী কিনবো। কিন্তু প্রচণ্ড গরম, মানুষের ভিড়ের কারণে মার্কেটে যেতেই বিরক্ত লাগছে। এখানে ঝামেলা তুলনামূলক কম। তাই ওদের নিয়ে এখানে এসেছি। এখান থেকেই কিনে নিবো।’
এদিকে অভিজাত শপিং মলের বাইরে নগরীর ফুটপাত, জহুর হকার মার্কেটে এখন উপচেপড়া ভিড়। শনিবার দুপুরে জহুর হকার মার্কেটের প্রবেশমুখে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ভিড়ের জন্য হাটার উপায় নেই। ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড়ে সেখানে ভ্যাপসা পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তবুও নিম্ন আয়ের মানুষের প্রধান ভরসা এই জহুর হকার মার্কেট। পছন্দের পাঞ্জাবী, শার্ট, প্যান্ট, জুতো কিনতে নিম্ন আয়ের মানুষ ভিড় করছেন এখানে।
এছাড়াও নগীর বৃহৎ কাপড়ের বাজার টেরিবাজার, রিয়াজুদ্দিন বাজার, নিউমার্কেট, আখতারুজ্জামান সেন্টার, আমিন সেন্টার, ফিনলে, শপিং সেন্টারসহ বেশকিছু বড় আকারের বিপণীকেন্দ্রে মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতারা ভিড় করছেন।
এর বাইরে টুপি, আতর ও নারীদের প্রসাধনীর দোকানগুলোতেও এখন চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। আগ্রাবাদ এলাকার একটি টুপির দোকানে কথা হয় নোমান উল্ল্যার সাথে। তিনি বলেন, ‘সব কেনাকাটা মোটামুটি শেষ। কয়েকটি টুপি কিনবো। নিজের জন্য, ভাইয়ের জন্য ও ভাতিজার জন্য।’
কাজীর দেউড়ি এলাকায় ভিআইপি টাওয়ার শপিং কমপ্লেক্সসহ অন্যান্য বিপণীকেন্দ্রগুলোর প্রসাধনীর দোকানগুলোতেও এখন তরুণী ও নারীদের ভিড় লেগেই আছে। জামা-জুতো কেনা শেষে এখন প্রয়োজনীয় প্রসাধনী সামগ্রী, মেহেদী ও বিভিন্ন ধরণের অলংকার কিনতে দোকানে দোকানে ঘুরছেন তারা।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল