বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্র এলাকায় মাছ ধরতে গিয়ে পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন ২০ জন জেলে। গত বুধবার (২৪ জুলাই) ভোরে বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল মৎস ঘাট থেকে তারা মাছ ধরতে যাওয়ার পর এখনো পর্যন্ত তাদের কোনো খোঁজ মেলেনি। বিষয়টি নিয়ে চরম উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন নিখোঁজ ব্যাক্তিদের স্বজনরা।
বাঁশখালী সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ৬৫ দিনের সামুদ্রিক মৎস আহরণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর অনেকেই মাছ ধরতে গেছেন। এরমধ্যে একটি মাছ ধরার নৌকায় থাকা মাঝিদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা বলে শুনেছি। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কোস্টগার্ডকেও জানানো হয়েছে।
শেখেরখীল ফাঁড়ির মুখ ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর শুক্কুর জানান, নিখোঁজ জেলেরা মেসার্স কালা ফকির নামের মাছ ধরার নৌকায় করে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলের বাইরে গভীর সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছেন। গত বুধবার ভোরে বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল ফাঁড়ির মুখ মৎস্য ঘাট থেকে বোট মালিক ফজল কাদের, মাঝি মুবিন, জাহাঙ্গীর আলম, মো. নয়ন, আজিজুর রহমান ও গুরা মিয়াসহ ২০ জন মাছ ধরতে যান। পাঁচ দিন পার হলেও এখনো তাদের খোঁজ মেলেনি। নিখোঁজ জেলে পরিবারের সদস্যরা উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
বাঁশখালী উপজেলার ইউএনও জেসমিন আকতার বলেন, ‘নিখোঁজ জেলেরা মোবাইল নেটকওয়ার্কের বাইরে রয়েছে বলে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। বিভিন্ন মাধ্যমে নিখোঁজ জেলেদের খবর নেয়ার চেষ্টা চলছে।’
বিডি প্রতিদিন/এএম