চট্টগ্রামের চান্দঁগাওয়ে যুবদলের দু’গ্রুপে সংঘর্ষে নিহত জুবায়ের উদ্দীন বাবু যুবদলের নয়, বরং যুবলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তার ফেইসবুক আইডিতে শেখ হাসিনাসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন সভা সমাবেশের ছবি পাওয়া গেছে।
যুবদলের সংঘর্ষে নিহত হওয়ার পর তাকে যুবদল কর্মী দাবি করা হলেও তিনি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না বলে দাবি করেছে যুবদল।
এদিকে বাবুর মৃত্যুর ঘটনায় ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সদ্য সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী বলেন, জুবায়ের উদ্দীন বাবু নামে একজন নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন মিডিয়ায় তাকে যুবদল বা বিএনপির কর্মী দাবি করছে। ওই ছেলেকে আমি চিনি না, তার সম্পর্কে জানি না। আমাদের মিছিল মিটিংয়ে কখনও তাকে দেখেনি।
এদিকে, জুবায়ের উদ্দীন বাবু নিহতের ঘটনায় ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০-৩০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে তার ভগ্নিপতি আওয়ামী লীগ কর্মী নাজিম উদ্দীন। মামলায় আসামি করা হয়েছে- নগর যুবদলের সাবেক কৃষি সম্পাদক নুরুল আমিন, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি জাসেদুর রহমান নওশাদ, চান্দঁগাও থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আলফাজকে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, টার্ফ উদ্বোধনে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন জুবায়ের উদ্দীন বাবু। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষ মুহুর্তের আগে আসামিরা অতর্কিত হামলা করে এবং জুবায়ের উদ্দীনকে ছুরিকাঘাত করে। আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চান্দঁগাও থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া বলেন, জুবায়ের উদ্দীন বাবুর ভগ্নিপতি নাজিম উদ্দীন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। শুক্রবার রাতে ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করা হয়। তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/একেএ