সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগারওয়ালার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আন্দোলনে নিহত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হৃদয় চন্দ্র তরুয়াকে হত্যার ঘটনায় শুক্রবার নগরীর চান্দগাঁও থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। এতে ২০৬ জনের নাম উল্লেখ করে ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শেখ রেহেনা, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগারওয়ালা, ড. হাছান মাহমুদ, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক চসিক মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন, রেজাউল করিম চৌধুরী, কাজী আকরাম উদ্দীন আহমেদ, সাবেক সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম, খাগড়াছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, নরসিংদীর মনোহরদী থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া, সিএমপির কোতোয়ালী থানার সাবেক ওসি মোহাম্মদ মহসিন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, সময় টিভির চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান কমল দে, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিককেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী আজিজুল হক মামলায় উল্লেখ করেছেন, ১ থেকে ৪০ নম্বর আসামিদের নির্দেশনা, অর্থায়ন ও প্ররোচনায় সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন আন্দোলনকারীদের গুলি করার নির্দেশ দেন। এরপর ৪১ থেকে ২০৬ নম্বর এবং অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জন হামলা চালিয়ে অস্ত্রসহ আন্দোলনকারীদের ওপর আক্রমণ করে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই চান্দগাঁও এলাকায় সংঘর্ষের সময় হৃদয় চন্দ্র তরুয়া গুলিবিদ্ধ হন এবং ২৩ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল