চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আমি সততার সঙ্গে কাজ করতে চাই। এখানে অনেক বাজেট আছে। আড়াই হাজার কোটি টাকার বড় বাজেটের মাত্র ছাড় হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। আরও প্রায় ১৯০০ কোটি টাকা আছে, কাজ করলে করা যাবে। আমি সৎ মানুষের খোঁজ করছি। যারা সত্যিকার অর্থে সুন্দর করে কাজ করতে পারবে। কোনো ধরনের চুরি না করে দুর্নীতি না করে। তাই আমি প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের বলে দিয়েছি, যে ৫৬২ কোটি টাকা ইতোমধ্যে ছাড় হয়েছে, ওই সমস্ত রাস্তার ম্যাপ করে আমাকে জানানোর জন্য। যদি কাজের মানের ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন আসে, তাদেরকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে নগরীর চকবাজার ১৭নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডে আহমেদুর রহমান স্মৃতি সংসদের গণসংবর্ধনা এবং আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন চসিক মেয়র।
এর আগে বাদে ফজর ফালাহ গাজী মসজিদের ডা. শাহাদাত হোসেনের পিতা আহমেদুর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, চসিকে অনেক সম্পদ আছে। সততার সাথে যদি আমরা কাজ করতে পারি, এই সিটি কর্পোরেশনকে নিজের সম্পত্তি না বানিয়ে যদি জনগণের সম্পত্তি হিসেবে উপস্থাপন করতে পারি। তাহলে সুন্দর একট নগর উপহার দেয়া যাবে। এই যে ৪৫০ কোটি টাকার যে দেনার কথা বলা হয়েছে, ইনশাআল্লাহ আমি সেটা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে পারবো।
মেয়র বলেন, আমি ২০ হাজার বিনের অর্ডার দিয়েছি। প্রতিটি দোকানে বিন দেব। যদি কেউ বিনে ময়লা না ফেলে রাস্তায় ফেলে তাদেরকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসব। আরও বিনের অর্ডার দেব। সিটি কর্পোরেশনের দুইটা গাড়ি স্ট্যান্ড বাই রেখেছি। সেখানে ইট, বালি, পাথর ও বিটুমিন রাখা আছে। আপনারা রাস্তার কোথাও যদি খানা খন্দক দেখলে তা অবশ্যই জানাবেন। সাথে সাথে লোক প্রস্তুত, তারা গিয়ে কাজ করে দেবে। আপনারা নিজ নিজ ওয়ার্ডে নিজ উদ্যোগে মনিটরিং করবেন। প্রতি ওয়ার্ডে ৫০ থেকে ৬০ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী আছে, তাদেরকে ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা বেতন দিত, বাকি টাকা তৎকালীন ওয়ার্ড কাউন্সিলদের পকেটে যেত। যার যেটা প্রাপ্য সেটা সে পাবে। কিন্তু কাজ করতে হবে। কাজ না করলে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে।
নগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশার সভাপতিত্বে এবং নগর বিএনপির সাবেক সহ দপ্তর সম্পাদক খোরশেদ আলম ও ১৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজি এমরান উদ্দিনের পরিচালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সাবেক সদস্য নাছির উদ্দীন, মো. আরশাদুল আলম সেলিম, বিএনপি নেতা সিরাজুল হক, নগর বিএনপির সদস্য কামরুল ইসলাম, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. সেকান্দার, সমাজ সেবক একেএম শহিদুল্লাহ শাহজাহান, আবদুর রহিম, আমিন মাহমুদ, ইব্রাহিম বাচ্চু, সালাহ উদ্দিন কায়ছার লাবু, আবদুল হালিম বাবলু, শেখ আলাউদ্দিন, খোরশেদ আলম, আবদুল কাদের, মনসুর সওদাগর, আবদুল হালিম, মো. মুজিব, আরিফুল ইসলাম ডিউক, জিয়াউল হক মিন্টু, শেখ কামাল আলম, মো. ফারুক, মো. সেলিম, ইসমাইল হোসেন লেদু, জাহেদ নূর জিতু, মো. সোহেল, জকির হোসেন, জাবেদুল হক, সাদ্দামুল হক, শফিউল বশর সাজু, মো. জাহেদ, রাকিবুল হাসান প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত