চট্টগ্রাম ওয়াসার নতুন স্যুয়ারেজ প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আজ সোমবার এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ৫ হাজার ১৫২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘চট্টগ্রাম পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প ও ইমার্জেন্সি মাল্টি-সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেনপন্স প্রজেক্ট’ শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পের জন্য কালুরঘাটে হামিদচর এলাকায় ৭৪ একর জায়গা নির্বাচন করা হয়েছে। এটি ওয়াসার স্যুয়ারেজের দ্বিতীয় প্রকল্প। এর আগে ২০২২ সালে ওয়াসা প্রথম স্যুয়ারেজ প্রকল্পের কাজ শুরু করে।
ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, ওয়াসার স্যানিটেশন ও ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় চট্টগ্রাম শহরকে ৬টি ক্যাচমেন্টে ভাগ করা হয়। প্রণীত প্ল্যানের সুপারিশ অনুযায়ী ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ওয়াসার প্রথম স্যুয়ারেজ প্রকল্পের জোন-১ এর কাজ শুরু হয়। এরপর অন্য ৫টি ক্যাচমেন্টের মধ্যে দুই ও চার নিয়ে আরেকটি স্যুয়ারেজ প্রকল্প তৈরি করা হয়। এটির দৈনিক ধারণ ক্ষমতা হবে ৬০ হাজার ঘনমিটার। প্রকল্পের অধীনে প্রধান স্যুয়ারেজ লাইন নির্মাণ করা হবে ১১ কিলোমিটার, শাখা স্যুয়ারেজ লাইন ৭০ কিলোমিটার, সার্ভিস লাইন হবে ৭০ কিলোমিটার। তাছাড়া, ৯৩২টি ম্যানহোল এবং ১৪ হাজার করে গৃহ সংযোগ ও ক্যাচপিট নির্মাণ হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে জামালখান, চকবাজার, চান্দগাঁও, শুলকবহর ও ষোলশহরসহ আশাপাশের মানুষ উপকৃত হবেন।
নাম প্রকাশ না করে ওয়াসার এক প্রকৌশলী বলেন, ওয়াসার দ্বিতীয় স্যুয়ারেজ প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। এর মাধ্যমে নগরের আরও কিছু এলাকা স্যুয়ারেজের আওতায় আসবে।
জানা যায়, নগরীর হালিশহরে চট্টগ্রাম ওয়াসার ১৬৩ একর জায়গায় ওয়াসার প্রথম স্যুয়ারেজ প্রকল্প স্থাপন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার ও ওয়াসার যৌথ অর্থায়নে তিন হাজার ৮০৮ কোটি ৫৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পর নগরীর ২০ লাখ মানুষ স্যুয়ারেজের আওতায় আসবে। প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ