রাজশাহীর আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে পবায় নির্যাতিত ২ শিশু জাহিদ হাসান ও ইমন।
সোমবার বিকেলে রাজশাহীর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবদুস সালাম তাদের জবানবন্দী রেকর্ড করেন। পরে তাদের শিশু আদালতে হাজির করে স্বাক্ষী গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হায়দার আলী সরকার। স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে স্বজনদের জিম্মায় দেওয়া হয় জাহিদ ও ইমনকে।
রাজশাহী শিশু আদালতের এপিপি পূর্ণিমা ভট্টাচার্য বলেন, গত বৃহস্পতিবার শিশু আদালতের বিচারক হায়দার আলী সরকার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই শিশু জাহিদ ও ইমনের জবানবন্দী রেকর্ড করার আদেশ দেন। সে আদেশের প্রেক্ষিতে আজ দুপুর দেড়টার দিকে রাজশাহী মেডিকলে কলেজ হাসপাতাল থেকে তাদের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজির করা হয়। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিচারক আবদুস সালাম তাদের দুইজনের জবানবন্দী রেকর্ড করেন।
মহিলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট শামিমা ইয়াসমিন শিখা বলেন, নির্যাতিত শিশু জাহিদ ও ইমনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও তাদের স্বজনদের জিম্মায় দেওয়ার জন্য মহিলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে আদালতে আবেদন করা হয়। সে আবেদনের প্রেক্ষিতে শিশু আদালতের বিচারক হায়দার আলী সরকার তাদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। বিচারক নিজে প্রশ্ন করে তাদের স্বাক্ষ্য নেন। পরে জাহিদকে তার পিতা ইমরান আলী ও ইমনকে তার মামা মিঠুর জিম্মায় দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি মোবাইল ফোন চুরি সন্দেহে পবা উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামের রাকিবের বাড়িতে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হয় জাহিদ ও ইমনকে। বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত নির্যাতনের পর ছেড়ে দেওয়া হলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় পরের দিন জাহিদের বাবা ইমরান আলী বাদী হয়ে এক সেনা ও র্যাব সদস্যসহ ১৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২২ ফেব্রুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন