শুধু চিকিৎসা নয়, আতিথেয়তা ও পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াও মালয়েশিয়ার হাসপাতালগুলোর মূলমন্ত্র। চমৎকার আবহাওয়া দেশটিকে দিয়েছে হেলথ টু্যরিজমের আবহ। এ বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করে চলছে এসব হাসপাতাল। বিভিন্ন দেশ থেকে রোগী আসছেন। আধুনিক সরঞ্জাম ও প্রাচ্যের আতিথেয়তাকে পুঁজি করে কুয়ালালামপুরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে কেপিজে তাওয়াক্কাল স্পেশালিস্ট হসপিটাল, আইজেএন, পানতাই হসপিটাল এবং রামসায় সাইম ডারবে হেলথ কেয়ারের মতো হাসপাতালগুলো।
এ ধারাবাহিকতায় এবার ঢাকায় একটি মেডিকেল সেমিনার করতে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউট বা আইজেএন। আগামী শনিবার হোটেল দ্য ওয়েস্টিনে অনুষ্ঠিত হবে এ সেমিনার। সকাল ৮টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত এ সেমিনারে তুলে ধরা হবে এ হাসপাতালের বিভিন্ন দিক ও অভিজ্ঞতা।
এছাড়া সেমিনারে অংশ নেবেন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের মহাসচিব প্রফেসর ডা. এম. ইকবাল আরসলান, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কার্ডিওভাসকুলার বাংলাদেশের পরিচালক প্রফেসর ডা. আবু আজম এবং নর্দার্ন ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হসপিটালের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. ইউসুফ আবদুল্লাহ। অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন মালয়েশিয়া আইজিএনের কার্ডিওলজিস্ট ডা. কুমারা গুরুপ্পা। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখবেন আইজিএনের সিনিয়র কনসালটেন্ট এবং হেড অব পেডিয়াট্টিক কার্ডিওলজিস্ট ডা. হাসরি সামিউন।
সাম্প্রতিককালে ব্যাংকক ও সিঙ্গাপুরের তুলনায় মালয়েশিয়ার চিকিত্সাব্যবস্থা অনেক এগিয়ে গেছে। এখানে চিকিত্সাসেবা নিতে আসাদের ব্যাপারে সরকার যথষ্টে উদার মনোভাবের পরিচয় দিচ্ছে। এ ছাড়া সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাও আরেকটি কারণ। মালয়েশিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে গতিশীল অর্থনীতির একটিতে পরিণত হয়েছে। এখানে মালয়ি, চীনা ও ভারতীয়দের সমন্বয়ে বহু জাতির সমাজে সবাই একসঙ্গে শান্তিতে বসবাস করে। মালয়েশীয়রা শান্তিপ্রিয় ও বন্ধুবৎসল। এখানে আসা পর্যটকরা এখানকার মানুষের কাছ থেকে সম্মান পান এবং তাদের হাসিমুখে গ্রহণ করা হয়ে থাকে। এ ধারাবাহিকতায় বেড়ে চলেছে হেলথ ট্যুরিজমের নেটওয়ার্ক।
বিডি-প্রতিদিন/ ১০ মার্চ, ২০১৬/ রাসেল