কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যার দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে তার পরিবার। গতকাল রবিবার বিকেলে কুমিল্লা সেনানিবাসের বাইরে একটি রেস্টুরেন্টে তনুর মা আনোয়ারা বেগম ও ভাই সাংবাদিকদের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি জানান।
তনুর মা আনোয়ারা বেগম বলেন, চিকিৎসক যে বিষয়টি বলছে তা মিথ্যা। আমার মেয়ে তনু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো। কুরআন শরীফ তেলায়াত করতো। তার সঙ্গে কোনো ছেলের সর্ম্পক ছিল না। নিজ ইচ্ছায় আমার মেয়ে কিছু করেনি। তাকে বাসায় নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে জঙ্গলে ফেলে গেছে তারা। তিনি আরও বলেন, সুরতহাল রিপোর্টের সময় আমরা ডাক্তারকে যা বলেছি, তা লিখেনি। অথচ তারা সব লিখেছে বলে আমাদের থেকে স্বাক্ষর নিয়ে গেছে। সব ডাক্তারই আমার মেয়ের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখেছে। কিন্তু তারা রিপোর্টে এসব উল্লেখ করেনি। ডাক্তারদের সঙ্গে কেউ সহযোগিতায় আছে, তাদের ইশারায় এমন করছেন তারা।
আনোয়ারা বেগম বলেন, ময়নাতদন্তকারী ডাক্তার আমাদের বাসায় এসেছিল। আমি ডাক্তারকে বলেছি, তনুর নাক, মুখ, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত ছিল। পায়ের পেশিতে বুট জুতা দিয়ে আঘাত করে থেঁতলে দেওয়ার চিহ্ন ছিল। আমার মেয়ের লম্বা চুলগুলো কেটে দিয়েছে।
এদিকে, গতকাল দুপুর পৌনে ১টায় তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করেন ময়নাতদন্তকারী বোর্ড। সকাল পৌনে ১১টায় তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন কুমিল্লা সিআইডির কাছে হস্তান্তর করে ময়নাতদন্তকারী বোর্ড কর্তৃপক্ষ। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের কর্মচারী ফারুক এ প্রতিবেদন সিআইডির অফিসে পৌঁছে দেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৩ জুন, ২০১৬/ আফরোজ