কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, গুপ্তহত্যার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মানুষ রুখে দাঁড়াচ্ছে। মানুষ জেগে উঠতে শুরু করেছে। মাদারীপুরে একজন শিক্ষকে হত্যা করার জন্য হামলাকারীকে হাতেনাতে ধরেছে। এটি উৎসাহব্যঞ্জক এবং সাহসী পদক্ষেপ।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে ১৪ দলের যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ১৯ মে দেশে চলমান গুপ্তহত্যার প্রতিবাদে ১৪ দল আয়োজিত মানববন্ধন সফল করতে বিভিন্ন পেশাজীবী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, মাদারীপুরের ঘটনায় যে ধরা পড়েছে সে শিবির কর্মী। তার পিতা তাকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে কয়েকদিন আগে থানায় একটি জিডি করেছিলেন কিন্তু কি কারণে করেছেন সেটা আমরা জানি না। সেই ঘাতকটি কলেজের ছাত্র হয়ে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হয়ে একটি অ্যাসাইনমেন্টে গিয়েছিল মাদারীপুরে যেখানে একজন ধরা পড়েছে আর দুইজনও ধরা পড়বে। এতে প্রমাণ হচ্ছে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত তরুণদের দিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট গুপ্তহত্যায় লিপ্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, ১৯ তারিখ ঢাকাবাসীকে দেখাতে হবে আমরা শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে আছি। এ চক্রান্তের বিরুদ্ধে শেষ লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত এ ধরণের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে মানুষকে সম্পৃক্ত করবো।
গুপ্তহত্যায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রত্যক্ষভাবে মদদ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ইফতার মুখে নিয়ে রোজাদার নারী কিভাবে মিথ্যাচার করছেন তা আপনারা দেখছেন। তিনি কিভাবে অশ্রাব্য ভাষায় শেখ হাসিনাকে আক্রমণ করছেন। খুন করে যারা ধরা পড়ছেন তাদের পরিচয় পাচ্ছে মানুষ। আর উনি বলছেন আওয়ামী লীগই খুন করছে। তিনি নন ইস্যুকে ইস্যু বানাতে চেষ্টা করছেন।
সভায় ১৪ দলের মুখপাত্র বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) আজ আমেরিকার ফ্লোরিডায় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করছেন। তা ভালো কথা, প্রধানমন্ত্রীও এর নিন্দা করেছেন। কিন্তু তিনি ফ্লোরিডার খুনের প্রতিবাদ করলেন আর বাংলাদেশে এতগুলো খুনের একবারও নিন্দা করলেন না কেন? বরং আওয়ামী লীগের ঘাড়ে দোষ দিচ্ছেন। এ হল খালেদা জিয়ার রাজনীতি। এতে প্রমাণ হচ্ছে এতদিন তিনি পরোক্ষভাবে গুপ্তহত্যাকারীদের সমর্থন দিয়ে এখন প্রত্যক্ষভাবে আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছেন।
যৌথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ফরিদুন্নাহার লাইলী, আমিনুল ইসলাম আমিন, এসএম কামাল হোসেন, এনামুল হক শামীম, জাসদের শিরিন আখতার, বাসদের রেজাউর রশিদ খান, গণতন্ত্রী পার্টির ডা. শহিদুল্লাহ সিকদার, শাহাদাত্ হোসেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হারুন অর রশিদ, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেড়ারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুল আলম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৬ জুন, ২০১৬/ আফরোজ