খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সংসদে জানিয়েছেন, গত চার বছর ধরে দেশে চাল আমদানী বন্ধ রয়েছে। বিদেশ থেকে চাল আমদানিকে নিরুৎসাহিত করার জন্য চলতি (২০১৬-১৭) অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটেও আমদানির ওপর ৩০ শতাংশ শুল্কের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে চাল আমদানি আরও নিরুৎসাহিত হবে।
সংসদেও বাজেট অধিবেশনে সোমবার টেবিলে উত্থাপিত গোলাম মোস্তফা বিশ্বাসের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। মন্ত্রী জানান, কৃষিবান্ধব সরকার দানাশস্য উৎপাদনে নানামুখী কার্যকর উদ্যোগ বাস্তবায়ন করায় দেশ চাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। ২০১২ সালের পর থেকে সরকার বিদেশ থেকে চাল আমদানি করেনি। শুল্ক আরোপের ফলে প্রাইভেট সেক্টরের ব্যবসায়ীরাও ২০১৫ সালের ডিসেম্বরের পর আর কোনো চাল আমদানি করেনি। তবে এর আগে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি করা হয়েছে। ২০ শতাংশ আমদানি শুল্ক দিয়ে সে চাল আমদানি করা হয়েছে।
মো. রহিম উল্লাহর প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী জানান, আগামী অর্থবছরে ইউনিয়ন পর্যায়ে হতদরিদ্রদের মধ্যে কার্ড প্রদানের মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২০ জুন ১৬/ সালাহ উদ্দীন