হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামে চাঞ্চল্যকর ৪ শিশু হত্যা মামলার আসামি রুবেলকে অপ্রাপ্তবয়স্ক দাবি করায় অভিযোগপত্রের উপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। আজ দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কিরণ শংকর হালদার আগামী ৭ দিনের মধ্যে রুবেলের বয়স নির্ধারণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি কারাগারে থাকা ৫ আসামির জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেন। আগামী ২৮ জুন মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, চাঞ্জল্যকর এই মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণ নিয়ে বারবার সময় ক্ষেপন হলেও সোমবার অভিযোগপত্র গ্রহন হবে বলে সবার প্রত্যাশা থাকলেও আসামি পক্ষ সময় ক্ষেপনের কৌশল গ্রহণ করায় মামলাটির এখনও বিচার কাজ শুরু করা যাচ্ছেনা। অথচ সিলেটের আলোচিত রাজন হত্যা মামলাটির দ্রুত বিচার হয়ে উদাহরন সৃষ্টি করেছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম মোল্লা মাসুম জানান, যদি কোন আসামি শিশু হয় তাহলে তা শিশু আদালতে বিচার হওয়ার বিধান। তাই আসামি রুবেল নিজেকে শিশু দাবী করায় তা নির্ধারনের জন্য আদালত মেডিক্যাল রিপোর্ট এর আদেশ দেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন জানান, বিভিন্ন কারনে মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণে বিলম্ব হচ্ছে। আসামীরা কৌশলে এই বিলম্ব ঘটাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের মোঃ ওয়াহিদ মিয়ার পুত্র জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), তার চাচাত ভাই আব্দুল আজিজের পুত্র তাজেল মিয়া (১০) ও আবদাল মিয়ার পুত্র মনির মিয়া (৭) এবং তাদের প্রতিবেশী আব্দুল কাদিরের পুত্র ইসমাঈল হোসেন (১০) নিখোঁজ হয়। ১৫ ফেব্রুয়ারী সকালে সুন্দ্রাটিকি গ্রামের দিন মজুর কাজল মিয়া প্রতিদিনের ন্যায় বাড়ি থেকে বেড় হয়ে করাঙ্গী নদীর পাশে মাটি কাটতে গিয়ে মাটি চাপা অবস্থায় ৪ শিশুর লাশ দেখতে পান। পরে লাশগুলো উত্তোলন করে ময়না তদন্ত শেষে ওই দিন রাতে দাফন করা হয়। এ ব্যাপারে দায়েরকৃত মামলায় ৫ আসামি কারাগারে, ২ জন পলাতক ও ২ জন জামিনে রয়েছেন। অন্যতম আসামি বাচ্চু মিয়া র্যাবের ক্রস ফায়ারে মারা গেছেন।
বিডি প্রতিদিন/২০ জুন ২০১৬/হিমেল-১১