বরিশালের ঈদের বাজারেও দ্বিগুন লাভে তৈরী পোষাক বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। পাইকারী বাজার থেকে যে দামে বিক্রেতারা তৈরী পোশাক ক্রয় করেছেন, পোষাকের গায়ে তার দ্বিগুন দামের স্টিকার লাগিয়ে বিক্রি করছেন তারা। একদামে বিক্রির নামে গায়ে লেখা দামেই পোশাক বিক্রি করছেন অধিকাংশ ব্যবসায়ী।
আজ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত নগরীর কয়েকটি অভিজাত পোষাক বিক্রির দোকানে অভিযান চালিয়ে পাইকারী বাজার থেকে পোষাক কেনার চালান যাচাই-বাছাই করলে দ্বিগুন লাভ করার বিষয়টি ধরা পরে। এ অবস্থায় ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুখময় সরকার প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে ২৪ ঘন্টা সময় বেঁধে দিয়ে তৈরী পোশাকে ৩০ ভাগের বেশী লাভ করা যাবেনা বলে ব্যবসায়ীদের হুশিয়ারী করে দেন।
এ নিয়মের কার্যকরিতা দেখতে আগামীকাল মঙ্গলবার আবারও জেলা প্রশাসন অভিযান চালাবে বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবসায়ীদের হুশিয়ারী করে দেন। আজ বিকালে নগরীর গীর্জামহল্লা সড়কে অভিজাত পোশাক বিপনী প্রতিষ্ঠান ‘দোয়েল’ ‘চন্দ্রমুখ’ ‘নেক্সটপ্লাস’ এবং ‘স্পার্ক’ সহ কয়েকটি তৈরী পোশাক বিক্রির প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত।
নেক্সট প্লাসে গিয়ে দেখা গেছে, ভারতীয় বাজার থেকে তরুনীদের একটি পোশাক ক্রয় করা হয়েছে ৪ হাজার ৯৮৫ টাকায়। ওই পোশাকের গায়ে ৯ হাজার ৩৭৫ টাকা বিক্রি মূল্যের স্টিকার লাগানো হয়েছে। দোকান মালিক রতন চৌধুরীর দাবী, ভ্যাট-ট্যাক্স, যাতায়াত খরচসহ পোশাকটির ক্রয় মূল্য পড়েছে ৬ হাজার ৩০০ টাকা।
পোশাক বিপনী প্রতিষ্ঠান ‘দোয়েল’ এ যে গেঞ্জির মূল্য ১৫০০ টাকার স্টিকার লাগানো হয়েছে, চালান খুঁজে দেখা গেছে, ওই গেঞ্জির কেনা হয়েছে হয়েছে মাত্র ৭০০ টাকায়। অভিযান চালানো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতেও দেখা গেছে একই চিত্র।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সুখময় সরকার জানান, প্রথমদিন অভিযান চালানোয় কাউকে জরিমানা করা হয়নি। ৩০ ভাগ মুনাফার নিয়ম ২৪ ঘন্টার মধ্যে কার্যকর করা না হলে অভিযুক্ত ব্যবসায়ীদের জেল-জরিমানা দেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/২০ জুন ২০১৬/হিমেল-১৭