কোস্ট গার্ড পূর্বজোনের স্টেশন সাঙ্গু পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে আনোয়ারা উপজেলার গহিরা উপকূল থেকে ১০ লাখ ইয়াবা উদ্ধার ও দুইজনকে নগদ ১৩ লাখ ৮৬৭ টাকাসহ আটক করেছে। আটক করা ইয়াবার বাজারমূল্য আনুমানিক অর্ধশত কোটি টাকা বলে জানান কোস্টা পূর্ব জোনের কমাণ্ডার ক্যাপ্টেন শহীদুল ইসলাম। চলতি বছরে এটাই ইয়াবার আটককৃত বড় চালান। এ অভিযানে বিজিবি ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনও সহায়তা করেছে বলে জানা গেছে।
কোস্ট গার্ড সূত্রে জানা গেছে, তাদের অভিযান শুরু হয় সোমবার সন্ধ্যায় ৭টায়। এ সময় আনোয়ারা থানার দোভাষী বাজার সংলগ্ন বেড়ীবাঁধ হতে একটি ব্যাগভর্তি ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২টি মোবাইল সেট এবং নগদ ১৩,৮৬৭ টাকাসহ ২ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন: দয়াল কৃষ্ণ (৪০), পিতা- গোপাল কৃষ্ণ, সীতাকুন্ড ও মোহাম্মদ হোসেন (৫৫), পিতা- মৃত মোহাম্মদ আলী, টেকনাফ, কক্সবাজার।
এদিকে, মঙ্গলবার কোস্টগার্ডের পূর্ব জোনের সদর দপ্তরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জোনাল কমাণ্ডার ক্যাপ্টেন শহীদুল ইসলাম বলেন, সোমবার বেলা ১২টায় সিজি স্টেশান সেন্টমার্টিন হতে কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনে গোপন সংবাদ আসে মিয়ানমার হতে একটি বোট বিপুল পরিমাণ ইয়াবার চালান নিয়ে চট্টগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশে শাহপরির দ্বীপের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। দুপুর দেড়টায় বিজিবি-২নং ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবুজার আল জাহিদ কোস্ট গার্ডকে জানান, সন্দেহজনক বোটটিকে বিজিবির টহল দল ধাওয়া করলে বোটটি গভীর সমুদ্রের দিকে পালিয়ে যায়। এরপর কোস্ট গার্ডের সব স্টেশান/আউটপোস্টে এলার্ট জারি করা হয় এবং উক্ত বোটটিকে আটকের উদ্দেশ্যে টহল জোরদার করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এছাড়া চট্টগ্রামের একটি বিশেষ টহল দল বহিঃনোঙ্গর, সাঙ্গু গ্যাস ফিল্ড ও তৎসংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করতে থাকে। সাঁড়াশি অভিযানের ফলে পাচারকারীরা সোমবার রাতে আনোয়ারার গহীরা উপকূলের দিকে পালিয়ে আসে। উপকূলের কাছাকাছি গিয়ে পাচারকারীরা বোটটিকে ডুবিয়ে দিতে তার তলদেশ ছিদ্র করে পারকি সৈকতের কাছে সাগরে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়। সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় বোটটিতে তল্লাশি চালিয়ে ৫টি বস্তায় ভর্তি ৯ লাখ ৫০ হাজার পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে।
কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের লেপ্টেন্যান্ট কমান্ডার জুলহাস ফয়সাল জানান, দুটি অপারেশানে সর্বমোট ১০ লাখ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য টাকা ৫০ কোটি ৫লাখ টাকা। প্রথম অভিযানে আটক দুই পাচারকারীকে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ ইতোমধ্যে আনোয়ারা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং জব্দকৃত দ্বিতীয় অভিযানে জব্দ ৯লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৯ জুলাই, ২০১৬/ আফরোজ