নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থেকে একটি অপহরণের ঘটনায় সংঘবদ্ধ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব সদস্যরা। ওই সময়ে উদ্ধার করা হয়েছে মুক্তিপণ বাবদ আদায় করা ৭৯ হাজার ৯শ ৫০ টাকা। আটক পাঁচজনের চারজনই নারী।
মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জে র্যাব-১১ এর সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল কামরুল হাসান (পিএসসি)। আটক পাঁচজন হলো ফতুল্লা থানাধীন ভূঁইগড় পূর্বপাড়া এলাকার শিউলী বেগম (৩৫), নাছিমা আক্তার (৩৫), নাছিমা বেগম (৪০), মমতাজ বেগম (৪৫) ও জসিম মিয়া (৩৮)।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল কামরুল হাসান (পিএসসি) জানান, সম্প্রতি শিউলী বেগম এবং তার সহযোগী নাছিমা আক্তার মিলে স্থানীয় হুমায়ূন আহমেদ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইলে প্রেম করে। পরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত ১৭ জুলাই মমতাজ বেগম তার নিজস্ব বাসায় হুমায়ূন আহমেদ ও তার ব্যবসায়ীক অংশীদার শাহজালালকে এনে দ্বিতীয় তলায় নিদিষ্ট রুমে আটক করে রাখে। এরপর উক্ত ভিকটিমদ্বয়ের সাথে বাসায় অবস্থানরত অজ্ঞাত মেয়েদের সাথে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আপত্তিকর ছবি তোলে ও ভিডিও করে। উক্ত ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশ করবে বলে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ও মুক্তিপন বাবদ ভিকটিম মো. হুমায়ন আহমেদের ব্যবহৃত মোবাইল দিয়ে তার ব্যবসায়ীক পার্টনার শাহ জালালের স্ত্রীর মোবাইলে কল করে ০১৬৭৪০৮৭১৬৬, ০১৬৮৯১৯২০১৬ এবং ০১৭৬২৬৮৭৫২৩ নম্বরে তিনলাখ টাকা বিকাশ করতে বলে।
উক্ত বিকাশ নাম্বরগুলোতে ভিকটিমদ্বয় তিনলাখ টাকা পরিশোধ করার পরেও অপহরণকারীরা তাদেরকে মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং আরও তিনলাখ টাকা দাবি করে। পরে শাহ জালালের কাছ থেকে জোরপূর্বক সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের এটিএম কার্ড ও পিন নম্বর নিয়ে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট হতে দুই দিনে আলাদাভাবে এক লাখ টাকা করে মোট দুই লাখ টাকা উত্তোলন করে।
এদিকে দু'জন নিখোঁজের ঘটনায় হুমায়ূন আহমেদ ও শাহজালালের অপর ব্যবসায়িক অংশীদার মো. জসিম উদ্দিন গত ১৮ জুলাই র্যাব-১১ এর নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে র্যাবের এএসপি আলেপউদ্দিনের নেতৃত্বে র্যাবের একটি গোয়েন্দা দল মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ফতুল্লা থানাধীন ভূঁইগড় পূর্বপাড়া এলাকা হতে অপহরণকারী চক্রের মূল হোতা শিউলী বেগমসহ পাঁচ সদস্যকে মুক্তিপণের আংশিক টাকাসহ আটক করতে সক্ষম হয়। উদ্ধার করা হয় ওই দুইজনকে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ