ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জানিয়েছেন, গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা মামলার তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট তদন্ত করছে। কমিশনার বলেন, তদন্তাধীন মামলায় কিছু কিছু তথ্য থাকে যা প্রকাশ করলে মামলার তদন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা সাসপেক্টরা পালিয়ে যায়। আমরা গুরুত্বপূর্ণ আলামত উদ্ধার করেছি। তিনটি আস্তানা পেয়েছি। এক কথায় বলতে পারি তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান ডিএমপি কমিশনার।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, একটা হামলার কতগুলো পর্যায় থাকে। প্রথম পর্যায় হল তাদের একত্রিত করা। দ্বিতীয় পর্যায় হল তাদের মগজ ধোলাই বা ব্রেন ওয়াশ করা। পরে তাদের ইকুইপমেন্ট দেওয়া বা প্রশিক্ষণ দেওয়া। এরপর তাদের আশ্রয় দেওয়া এবং সরাঞ্জামাদির সাপ্লাই দেওয়া। এরপরেই অ্যাটাক। গুলশানের অ্যাটাকে ছিল ছয় জন। তারা ‘ইন অ্যাকশনে’ মারা গেছে। কিন্তু যারা রিক্রুটমেন্টের সঙ্গে জড়িত, প্রশিক্ষণের সঙ্গে জড়িত, অর্থ দেওয়ার সঙ্গে জড়িত, আশ্রয় দেওয়ার সঙ্গে জড়িত তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। আমরা চারজন সন্দেহভাজনের ছবিসহ নাম প্রকাশ করেছি। এছাড়া বাসা ভাড়া দেওয়ায় যারা সাহায্য করেছিলো তাদের ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছি।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ