সংবিধান প্রণেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, এখন জনগণকে ভীত হয়ে ঘরে বসে থাকলে চলবে না। দেশে যে অবস্থা বিরাজ করছে তা কেউ চায় না। এই ধরনের পরিস্থিতিতে বসে থাকাও যায় না। এ অবস্থায় অর্থবহ কিছু একটা করতে হবে। জনগণও এখন কিছু একটা চায়। কারো আহ্বানের জন্য অপেক্ষা না করে দেশের এই অবস্থায় সকলকে ঐকবদ্ধ হতে হবে। দেশের গৌরবজ্জল অতীতকে স্মরণ করে তরুন সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
রাজধানীতে যুব গণফোরামের বর্ধিত সভায় ড. কামাল হোসেন এ আহ্বান জানান। গতকাল ইডেন কমপ্লেক্সে গণফোরামের কার্যালয়ে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন যুব গণফোরামের আহ্বায়ক কাজী হাবিব। বক্তব্য রাখেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু, গণফোরাম নোত আ.ও.ম. শফিক উল্লাহ, মোশতাক আহমেদ, যুব ফোরামের যুগ্ম আহবায়ক শেখ মোহামম্মদ ইসমাইল, ঢাকা মহনগর সভাপতি নাজিম মোহাম্মদ রুমেল জেলা প্রতিনিধিদের মধ্যে মোহাম্মদ মাসুম, মোহাম্মদ বোরহানউদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
ড. কামাল হোসেন জঙ্গি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, গুলশান-শোলাকিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের ঘটনা এদেশের মানুষ মনে-প্রাণে চায় না। দেশের জন্য জীবন দিতে যাদের চাওয়া পাওয়ার কিছু ছিল না তারা এমন বাংলাদেশ চায়নি। দেশ স্বাধীন হয়েছে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য। তিনি বলেন, এখন দেশে যা হচ্ছে তাতে বসে থাকার অর্থ হচ্ছে বোকার স্বর্গে বাস করা। কখনোই এধরনের পরিস্থিতিতে অতীতে দেশের জনগণ ভয়ে ভীত হয়ে বসে থাকেনি। বলেনি গুলি ছুড়ে মেরে ফেলা হবে, তাই সবাই ঘরে বসে থাকো। বলেনি কেউ এখন ঘর থেকে কেউ বের হওয়া যাবে না। তাই এখনও জনগণ ভীত হয়ে ঘরে বসে থাকতে পারে না। ভীত হলে চলবে না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পদ বা কোনো কিছু চাওয়া পাওয়ার আশায় বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেননি। তার অনুসারী হয়ে আমরা এমন ধরনের আচরণ করতে পারি না। অতীতে ছাত্র-শিক্ষকসহ শ্রেণি প্রেশার মানুষ যািদ ঘরে বসে যদি বসে থাকতো তাহলে দেশ স্বাধীন হতো না। ভাষা আন্দোলন সফল হতো না। জয়লাভ করতে পারতো না স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে।
ড. কামাল হোসেন অভিযোগ করেন, দেশের সত্যিকারের ইতিহাসকুব সমাজের কাছে তুরে ধরা হচ্ছে না। দেশে এর আগে অনেক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। জনগণ এসবের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেই বিজয় ঘরে তুলে এনেছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৩ জুলাই, ২০১৬/ আফরোজ