ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে জঙ্গি তৎপরতার প্রমাণ পাননি গোয়েন্দারা। শনিবার দিনভর ওসমানী বিমানবন্দরে অভিযান চালিয়ে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হন সিলেটের বিমানবন্দর ও কার্গো সেকশন ব্যবহার করে নাশকতামুলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার উদ্দেশ্যে কোনো অস্ত্র, গোলাবারুদ, বিস্ফোরক অথবা মাদকদ্রব্য আসছে না।
জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক কম্বিং অভিযান ‘অপারেশন আইরিন’র অংশ হিসেবে শনিবার ওসমানী বিমানবন্দরসহ দেশের তিনটি বিমানবন্দরে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
শুল্ক গোয়েন্দা তদন্ত অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক ইমাম গাজ্জালি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, আঞ্চলিক কার্যালয় সিলেটের সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম শনিবার সকাল সোয়া ৬টা থেকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দিনব্যাপী অভিযানে নামে।
এ সময় গোয়েন্দা দলটি বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবন এবং কার্গো সেকশনে রক্ষিত পণ্যসমূহ স্ক্যানিং ও ডগ স্কোয়াডের সাহায্যে দৈবচয়ন ভিত্তিতে পরীক্ষা করে। অভিযান চলাকালে বিমানবন্দর কাস্টমস, ডিজিএফআই, এনএসআই, সিটিএসবি, বিজিবিসহ অন্যান্য সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শুল্ক গোয়েন্দা তদন্ত অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৩৩টি দেশে একযোগে অপারেশন আইরিন নামের বিশেষ এ অভিযানটি পরিচালিত হচ্ছে। ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের (ডাব্লিউসিও) অধীনে ‘রিজিওনাল ইন্টেলিজেন্স লিয়াজো অফিস ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক’ (রাইলো এপি) এ অভিযানের সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করছে। বাংলাদেশে এ অভিযানটি পরিচালনা করছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
বিডি প্রতিদিন/২৩ জুলাই ২০১৬/হিমেল-১৯