বৃষ্টি নেই। সূর্যের উত্তাপে কাহিল অবস্থা। ঘাম ঝরছে শ্রমিকের শরীর থেকে। তারপরও দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ জোয়ারের পানিতে ভাসছে। বৃহস্পতিবারও তৃতীয় দিনের মত পানির নিচে থাকে চাক্তাই খাতুনগঞ্জ। জোয়ারের পানিতে কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও কোমর সমান পানি হয়। দোকান ও গুদামে পানি ঢুকে নষ্ট হয় মালামাল। ফলে ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়ছেন বলে জানা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়, চাক্তাই এলাকার রাজাখালি, অলি মিয়ার গলি, পোস্ট অফিস লেইন, খাতুনগঞ্জ এলাকার চান মিয়া লেইন, হামিদুল্লাহ খাঁ বাজার, চরচাক্তাই এলাকার ইসমাইল ফয়েজ রোড, আবু জফুর রোড, তক্তার পুল, মিয়া খান নগর বাদিয়ার টেক, বাকলিয়ার খেজুর তলি বউ বাজারসহ আশপাশের অনেক নিচু এলাকা। পানিতে ডুবেছে চাক্তাই, মিয়াখান নগর এলাকার শত শত কলোনিও।
খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জামাল হোসেন বলেন, গত তিনদিন ধরে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ এলাকা জোয়ারের পানিতে ভাসছে। পানিতে ব্যবসায়ীদের অনেক মালামাল নষ্ট হচ্ছে। এতে অনেকেই আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন। এ ব্যাপারে আমরা সরকারি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে দাবি জানাতে জানাতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। দাবি নিয়ে এখন আর কেউ সোচ্চার হতে আগ্রহ দেখান না।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় শুরু হয় জোয়ারের পানি ওঠা। এর পর আস্তে আস্তে পানি বাড়তে থাকে। বিকাল চারটা পর্যন্ত পানি স্থির থাকে বিভিন্ন দোকান ও গুদামে। ব্যবসায়ীরা তাড়াহুড়ো করে মালামাল সরানোর চেষ্টা করলেও নিচ তলার অনেক গুদামে মাল থেকেই যায়। তাছাড়া রাতের বেলার জোয়ারেও আরেকবার পানি ঢুকে। দৈনিক দুইবার জোয়ারের সময় দুইবার পানি ঢুকে।
একাধিক ব্যবসায়ী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নতুন নয়। প্রতিবছরই জোয়ারের পানিতে সয়লাব হয়। এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ নিতে বার বার বলাও হয়। কিন্তু অবস্থা কোনোভাবেই পরিবর্তন হয় না। ইতোমধ্যে এবং পানি সম্পদ মন্ত্রী ও সিটি মেয়রকে ১০ দফা দাবি দিয়ে স্মারকলিপিও দিয়েছিলাম। কিন্তু আশ্বাসই মিলছে আমাদের। কাজের কোনো বাস্তবায়ন দেখি না।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৪ আগস্ট, ২০১৬/ আফরোজ