অন্যায়ভাবে আটক করে চাঁদাবাজির অভিযোগে খুলনা মহানগরীর নিরালা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সোহেল রানাসহ প্রতারক চক্রের ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ভোর রাতে ৪ জন এবং পরে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে সোহেল রানাকে গ্রেফতার করা হয় বলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে খুলনা সদর থানার ওসি সফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-এসআই সোহেল রানা (৩৫), স্বপ্না আক্তার ওরফে রুনা (৩৫), সীমা (২০), মোঃ রাজু শেখ (৩৯) ও আব্দুল হামিদ (৩২)। তবে এই প্রতারক চক্রের মুল হোতা শাহিনারা বেগমকে পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি।
গ্রেফতাকৃতরা মুঠোফোনের মাধ্যমে মেয়েদের দিয়ে প্রতারনার ফাঁদ পেতে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করতো। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম ও তহসিলদার রমজান আলী বাদী হয়ে খুলনা থানায় দু'টি মামলা করেছেন। দুই মামলায় এসআই সোহেল রানাসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জানা গেছে, মোবাইল ফোনে সম্পর্কের জের ধরে এদেরকে পৃথক সময়ে মহানগরীর নিরালা আবাসিক এলাকার ১৭ নম্বর রোডের ২৯৫ নম্বর বাড়িতে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে কক্ষের ভেতরে অন্য মেয়েদের সাথে তাদেরকে বিবস্ত্র অবস্থার ছবি তুলতে বাধ্য করা হয়। এক পর্যায়ে সেখানে এসআই সোহেল রানা উপস্থিত হয়ে তাদের হাতে হ্যান্ডকাপ দিয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। ভয়ে দুইজনই নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করেন।
সোমবার রাতে খুলনা থানায় মামলা দায়েরের পর রাত ভর অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আসামিদের আদালতে চালান দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদনও জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে খুলনা সদর থানার ওসি সফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর সোমবার গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতারক চক্রের ৪ জনকে গ্রেফতার করি। এসআই সোহেলকে নিরালা পুলিশ ফাঁড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে আটক করে চাঁদাবারির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/১৬ আগস্ট, ২০১৬/মাহবুব