চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়রের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের প্রেরিত পত্র আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি করেছেন চসিকের তালিকাভূক্ত ঠিকাদাররা। মঙ্গলবার দুপুরে নগর ভবন চত্বরে ঠিকাদার এস এম শফিউল আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, বীর চট্টগ্রাম মঞ্চের সম্পাদক সৈয়দ ওমর ফারুক, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরী, ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা বেগম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম উন্নয়নের দায়িত্ব দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই গ্রহণ করেছেন। সেদিক থেকে চট্টগ্রামবাসী ভাগ্যবান। জননেত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রাম নগরের প্রতিনিধি নির্বাচিত মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। মেয়র চট্টগ্রামকে আধুনিক, বিশ্বমানের ও নান্দনিক চট্টগ্রাম গড়ার প্রত্যয়ে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। তার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিদ্বেষী একটি মহল শুরু থেকে ষড়যন্ত্র করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় সরকারের কিছু আমলা ষড়যন্ত্রে যুক্ত হচ্ছেন। তারা চট্টগ্রামের উন্নয়ন চায় না বলেই উন্নয়ন বরাদ্দ যথাযথভাবে চট্টগ্রাম পাচ্ছে না। চট্টগ্রাম বিদ্বেষী কতিপয় আমলাদের কারণে নতুন খাল খননসহ অসংখ্য প্রকল্প বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে চট্টগ্রামবাসীর দূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে।
বক্তারা আরও বলেন, এখতিয়ার বহির্ভূত পন্থায় জনৈক একজন সরকারের আমলা মেয়রের নিকট তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে পত্র প্রেরণ করেছেন- যা চট্টগ্রামবাসীর প্রতি অবজ্ঞার শামিল। একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির নিকট আমলাদের পত্র দিয়ে ব্যাখ্যা চাওয়ার বৈধ কোন অধিকার নেই। মানববন্ধনে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জনৈক অতিরিক্ত সচিবের সাক্ষরিত পত্র প্রত্যাহারের দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ, সাইফুদ্দিন খালেদ সাইফু, ঠিকাদার মো. ফিরোজ, এস এম মোরশেদ আলম, এস এম আলমগীর, মহিউদ্দিন আহমদ চৌধুরী, আবু তালেব চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, গত ১০ আগস্ট বুধবার চট্টগ্রামের একটি অনুষ্ঠানে চসিক মেয়র ‘পাঁচ শতাংশ ঘুষ ছাড়া মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ মিলে না এবং একটি প্রকল্পের জন্য অর্থ ছাড়ে একটি পাজেরো ঘুষ দাবি করেছেন’ বলে অভিযোগ করেছিলেন। পরদিন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে মেয়রের কাছে ব্যাখ্যা তলব করে। পত্রে সাত কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৬ আগস্ট, ২০১৬/ আফরোজ