স্ত্রী হত্যার দায়ে ২২ বছর আগে দায়ের হওয়া মামলায় স্বামী সাবের আলীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। একই রায়ে আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সাবের আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী মনোয়ারা বেগম এবং নিকটাত্মীয় জামাল হোসেনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। দণ্ডিত সাবেরসহ তিন আসামি বর্তমানে পলাতক আছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) চট্টগ্রামের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মীর রহুল আমিন এ রায় দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নগরীর পাঁচলাইশ থানার হিলভিউ হাউজিং সোসাইটিতে জজ সাহেবের প্লটের বাসায় থাকত সাবের আলী ও তার স্ত্রী আরজু বেগম। মনোয়ারা বেগমকে বিয়ে করা নিয়ে সাবের ও আরজুর মধ্যে মনোমালিন্য ছিল। ১৯৯৪ সালের ১ অক্টোবর বাসা থেকে আনুমানিক ৫’শ গজ দূরে ঝুলন্ত অবস্থায় আরজু বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তখন বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হয়।
ঘটনার আটদিন পর ৯ অক্টোবর আরজুর বাবা নাজির হোসেন সাবেরসহ তিনজনকে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, তিনজন মিলে আরজুকে শ্বাসরোধ করে খুন করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে।
পাঁচলাইশ থানার তৎকালীন এস আই জয়নাল আবেদিন তদন্ত শেষে ১৯৯৫ সালের ১২ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ১৯৯৭ সালের ২২ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার আদালত সাবেরকে স্ত্রী হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ