নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। আজ বুধবার নগর ভবন প্রাঙ্গণে নাসিকের মেয়র পদ থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি।
পরে বিকেল সাড়ে ৩টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি বলেন, 'সব সময় আমার আদর্শ ও সততা দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি। কখনো কোনো অপশক্তির কাছে মাথানত করিনি। গত ৫ বছর ও এর আগে পৌরসভার ৮ বছর, মোট ১৩ বছরে আমি এক মুহূর্তের জন্যও থেমে থাকিনি। আমার বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র, অনেক অপপ্রচারের পরেও কাজ করেছি জনগণের কল্যাণে।'
আইভী বলেন, মঙ্গলবার রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের বৈঠকে তিনি সবাইকে নৌকা প্রতীকে কাজ করতে বলেছেন। আমি আশা করি, সবাই এখন নৌকা প্রতীকেই আছেন। তবে আমি যখন এখানে ব্রিফিং করছি তখনো আমি মেয়র, সেহেতু এখানে নেতাকর্মী আসাটা বোধগম্য না। তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যে যার মত কাজ করছে। আশা করছি অচিরেই সবাই ঐক্যবদ্ধ হব।
তিনি আরও বলেন, জবাবদিহিতার মধ্যে গত ৫ বছরে আমি কাজ করেছি। আমি এক টাকাও দুর্নীতি করি নাই। সিটি কর্পোরেশনের অনেক উন্নয়ন হয়েছে জনগণের ট্যাক্সের টাকায়। শতভাগ ট্যাক্স আদায় না হওয়াটা আমার ব্যর্থতা। তবে আমি ৬০ ভাগ ট্যাক্স আদায় করতে পেরেছি।
আচরণ বিধি লঙ্ঘনে বিএনপি প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইভী বলেন, ‘আমি কোনো আচরণ বিধি লঙ্ঘন করিনি। এমন যদি হত যে, আমি প্রচারণায় সরকারি গাড়ি কিংবা সিটি কর্পোরেশনের ভবন (নগর ভবন) ব্যবহার করেছি, তাহলে সেটা লঙ্ঘন হত। আর এখনো তো লেভেল প্লেয়িংয়ের সময় আসেনি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ও প্রতীক বরাদ্দের পর এ ব্যাপারে কথা হবে।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৪ নভেম্বর, বাছাই ২৬ ও ২৭ নভেম্বর আর প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৪ ডিসেম্বর। সবশেষ ২২ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বিডি প্রতিদিন/ ২৩ নভেম্বর ২০১৬/ এনায়েত করিম-১৬