রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় নগরীর দুটি স্পর্শকাতর প্রবেশপথে অতিরিক্ত সতর্কতা জারি করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। একইভাবে বাকি প্রবেশ পথগুলোতেও সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের। সিএমপির বিবেচনায় স্পর্শকাতর প্রবেশ পথের একটি হচ্ছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক দিয়ে নগরীর প্রবেশমুখ শাহ আমানত সেতু। আরেকটি চট্টগ্রাম আরাকান সড়কের কালুরঘাট সেতু। এসব প্রবেশপথে সার্বক্ষণিক চেকপোস্টে অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই সতর্কতা জারি করেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)’র কমিশনার মো. ইকবাল বাহার।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কোনভাবেই যেন রোহিঙ্গারা নগরীতে আসতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত ফোর্সও পাঠানো হয়েছে। এই পর্যন্ত যে সিদ্ধান্ত আমরা পেয়েছি সেটা হচ্ছে, যেসব রোহিঙ্গা কক্সবাজারে ঢুকে পড়েছে তাদের নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পাঠিয়ে দেয়া হবে। কিন্তু সেই নির্দিষ্ট জায়গা থেকে ফাঁক গলে কেউ চট্টগ্রামে কিংবা চট্টগ্রাম দিয়ে অন্য কোথাও যাবে সেটা আমরা বরদাশত করতে পারব না।
সম্প্রতি মিয়ানমারের কয়েকটি নিরাপত্তা ফাঁড়িতে হামলায় ৯ জন পুলিশ নিহত হওয়ার পর দেশটির রাখাইন অধ্যুষিত এলাকায় ব্যাপক ধরপাকড় ও নির্যাতন শুরু হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এরপর গত দুই সপ্তাহ ধরে কক্সবাজারে বিভিন্ন সীমান্তপথ দিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে বিজিবির কঠোর নিরাপত্তা এড়িয়ে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা কক্সবাজারে প্রবেশ করেছে। অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের উখিয়ার কুতুপালং, টেকনাফের লেদা ও শাপলাপুর আনরেজিস্টার্ড ক্যাম্পে রাখা হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৯ নভেম্বর, ২০১৬/মাহবুব