রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভসহ তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে রেল অঙ্গনসহ শ্রমিক নেতা ও কর্মচারিদের মাঝে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ট্রেড এপ্রেন্টিস পদে লোক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে সিআরবিতে (সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং)।
শনিবার সরকারি ছুটি থাকায় কোন কর্মকর্তা অফিস না করলেও খবর নিয়ে জানা গেছে কর্মকর্তাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় নেপথ্যে জড়িতদের চিহ্নিত করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে কঠোর শাস্তির দাবি জানান রেল শ্রমিকলীগের নেতারা। তবে রেলওয়ের চিহ্নিত কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আতাঁত করে রেলপথমন্ত্রীকে বির্তকিত করতে এসব অপতৎপরতায় লিপ্ত আছেন একটি চক্র। এতে সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বের হবে বলে জানান রেল সংশ্লিষ্টরা।
অভিযোগ রয়েছে, মন্ত্রীকে বির্তকিত করতে রেলভবনের কিছু কর্মকর্তা কৌশলে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। একই সাথে রেলভবনসহ বিভিন্ন স্থানে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের আত্বীয়দের ‘দাপটে’র সাথেও কয়েকজন কর্মকর্তা হুমকি দিয়ে আসছে। এতে ডিজির (মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন) নামও ব্যবহারও করা হচ্ছে। এসব তথ্যের কিছু চিঠিসহ বিভিন্ন কাগজপত্র রক্ষিত (বাংলাদেশ প্রতিদিন, চট্টগ্রাম অফিসে) আছে। এদিকে এসব বিষয়ে জানতে রেলের মহাপরিচালক (ডিজি) আজমাদ হোসেনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করনেনি।
রেলওয়ের স্থানীয় শ্রমিক লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে থাকলে এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এ কাজে যারাই জড়িত থাকুক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি থাকবে আমাদের।’
রেল শ্রমিক লীগ চট্টগ্রাম স্টেশন শাখার সাধারণ সম্পাদক কামাল পারভেজ বাদল বলেন, 'প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় নিয়োগ কমিটির কয়েকজনের হাত রয়েছে। আমরা তাদের বিচার দাবি করছি। এ ঘটনার প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন করবো।'
শনিবার সিআরবিসহ বিভিন্ন স্থানে সরেজমিনে দেখা যায়, সরকারি ছুটির কারণে অফিস বন্ধ ছিল। কিন্তু ওই সমস্ত এলাকায় বসবাসরত রেল কর্মকর্তা কর্মচারীদের একাংশ প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে শোনা গেছে। তাদের মতে, রেলওয়ের একটি অসাধু চক্রই এ কাজটি করেছে। চক্রটির সাথে রেল নিয়োগ কমিটির একজন প্রভাবশালীর যোগসূত্র রয়েছে বলেও জানা গেছে। এছাড়া কয়েকজন পরীক্ষার্থীর অভিভাবক প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় চরম অসন্তোষ এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এ ঘটনার দায়ভার রেলওয়ের নিয়োগ কমিটিকেই নিতে হবে বলে তারা দাবি করেছে।
বিডি প্রতিদিন/৩১ ডিসেম্বর ২০১৬/হিমেল