নিয়ম বহির্ভূতভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করায় চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে (ইউএসটিসি) বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) ধার্যকৃত জরিমানা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করার আল্টিমেটাম দিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। সোমবার দুপুরে ইউএসটিসি অডিটোরিয়ামে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের এক সমাবেশে তিনি এ আল্টিমেটাম দেন।
তিনি ইউএসটিসির উদ্দেশ্যে বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মতে জরিমানার ১০ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে পাঁচ ব্যাচের ১ হাজার ৪০০ জন শিক্ষার্থীর বিএমডিসি রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্তি নিশ্চিত করুন। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে আমরা কঠোর অবস্থান গ্রহণে বাধ্য হব।
সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আবু হানিফ, ইউএসটিসির প্রো ভিসি অধ্যাপক নুরুল আবছার, নগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান প্রমুখ। মহিউদ্দিন মুন্নার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন রাকিবুল হুদা, অনিক দাশ গুপ্ত, কফিল চৌধুরী, মিঠুন, হাসিব আল মাহমুদ, রাহুল মজুমদার, আহমেদ রিজুয়ান, আনোয়ার, মাশরাফী, বাধন ও কাশেম প্রমুখ।
সভায় এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘ইউএসটিসি চট্টগ্রামের সম্পদ’। এটি প্রতিষ্ঠায় প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক নূরুল ইসলামের প্রতি আমরা কতৃজ্ঞ। এটি সমৃদ্ধ হোক, তা আমি মন থেকেই চাই। কিন্তু চট্টগ্রামের এ সমৃদ্ধ সম্পদকে কেউ যেন ব্যক্তিগত সম্পদ মনে না করেন। রেজিষ্ট্রেশন বঞ্চিত ছাত্রছাত্রীরা আমার সন্তানের মতো। তারা পরিবারের বিপুল অর্থ ব্যয়ে এ প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছেন চিকিৎসক হিসেবে সমাজে নিজেদের প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু ইউএসটিসি কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতার শিকার হয়ে তারা তাদের ন্যূনতম অধিকার বিএমডিসির রেজিষ্ট্রেশন পায়নি। নৈতিক অধিকারের দাবিতে তারা রাস্তায় আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছে। ইউএসটিসির সকল সংকটে অতীতেও আমি এগিয়ে এসেছি, চলমান সংকটেও থাকব ইনশাল্লাহ্।
প্রসঙ্গত, বিএমডিসির নিবন্ধন দাবিতে ইউএসটিসির পাঁচ ব্যাচের বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা গত ৯ জানুয়ারি থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে রাজপথে নেমে আসে। অবরুদ্ধ করে রাখে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্যকে। এর মধ্যে গত ২৩ জানুয়ারি ২৫তম ব্যাচের ফাইনাল এবং ১৪ জানুয়ারি ২৬তম ব্যাচের দ্বিতীয় পেশাগত পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। সর্বশেষ গত ২২ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় ইউএসটিসিকে ১০ কোটি টাকা জরিমানা করে বিএমডিসি। এই টাকা পরবর্তী এক মাসের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু ২০ মার্চ পর্যন্ত ইউএসটিসি এ টাকা পরিশোধ করেনি বলে জানা যায়।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ