চট্টগ্রাম সীতাকুন্ডে আটক জঙ্গি দম্পতি জসিম ও আরজিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৃতীয় দফায় ১২ দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ। সীতাকুন্ড থানায় হত্যা এবং সন্ত্রাস দমন আইনে দায়ের হওয়া দুই মামলায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পৃথকভাবে ২৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। আদালত হত্যা মামলায় সাতদিন এবং সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি দিয়েছেন। শনিবার চট্টগ্রামের বিচারিক হাকিম হেলাল উদ্দিন চৌধুরী রিমান্ড আবেদনের উপর শুনানি শেষে এই আদেশ দিয়েছেন বলে জানান জেলা পুলিশ পরিদর্শক (প্রসিকিউশন) এইচ এম মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় দফায় পাঁচদিন হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের শনিবার দুপুরে আদালতে হাজির করে সীতাকুন্ড থানা পুলিশ। এর মধ্যে সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় ১০ দিন এবং হত্যা মামলায় ১৫ দিনের রিমান্ডে চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। তিনি বলেন, সীতাকুন্ড পৌরসভার প্রেমতলায় ছায়ানীড় ভবনে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা দুটিতে এই রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়।
জানা যায়, সীতাকুন্ড পৌরসভার নামারবাজারের সাধন কুটিরে অভিযানের ঘটনায় দায়ের হওয়া দুটি মামলায় গত ১৭ মার্চ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথমবার ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। এরপর ২৮ মার্চ শুধুমাত্র সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। গত ১৫ মার্চ দুপুরে সীতাকুন্ড পৌরসভার নামারবাজারে সাধন কুটির থেকে জঙ্গি দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ছায়ানীড় ভবনের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ। ছায়ানীড় ভবনে ‘অপারেশন অ্যাসল্ট-১৬’ নামে ২০ ঘণ্টার অভিযানে ২১ জনকে বন্দিদশা থেকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া চার জঙ্গিসহ পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযানে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। পৃথক জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের সময় পুলিশের উপর হামলা, বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটানো এবং অস্ত্র-বিস্ফোরক মজুদ রাখার জন্য চারটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি সন্ত্রাস দমন আইনে এবং একটি অস্ত্র আইনে ও আরেকটি হত্যা মামলা। প্রত্যেক মামলায় নামারবাজার থেকে গ্রেপ্তার হওয়া দম্পতি জহিরুল ইসলাম জসিম এবং তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা আরজিনা এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার