চট্টগ্রাম নগরী ও জেলায় পৃথক দুর্ঘটনায় শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছে। পৃথক এসব ঘটনায় গুরুতর আহত ৫ জনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার সকালের দিকে এসব ঘটনা ঘটে বলে জানান চমেক হাসপাতাল ফাড়িঁর ইনচার্জ নায়েক মোহাম্মদ আমীর।
প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের বাদুরতলা এলাকায় বৃষ্টির মধ্যে পড়ে থাকা বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে রবিউল করিম (৪০) ও তার স্ত্রী রোকসানা বেগম (৩০) গুরুতর আহত হন। পড়ে দ্রুত চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার রবিউলকে মৃত ঘোষণা করেন। তাছাড়া নগরীর হালিশহরের রামপুরা এলাকায় সকালে খেলতে গিয়ে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মারা যায় রাজু নামে ১২ বছর বয়সী এক শিশু। অপরদিকে ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট এলাকায় গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আখতারুজ্জামান (৫০) নামের এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক মোহাম্মদ আমীর বলেন, বাদুরতলার রবিউল ও তার স্ত্রীর বাসা স্থানীয় ইলিয়াছ কলোনীতে। কাছেই একটি গ্যারেজে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন তিনি। কাজ শেষে সকালে বাসায় ফেরার পথে বাইরে পানির নিচে বিদ্যুতের তার দেখতে পেয়ে সরানোর চেষ্টাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এসময় স্ত্রীও আহত হন। এতে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রবিউলকে মৃত ঘোষণা করেন। একইভাবে হালিশহরের রামপুরা এলাকার একটি মাঠে খেলতে গিয়ে পড়ে থাকা তারে জড়িয়ে পড়ে স্থানীয় আবদুল আজিজের ছেলে রাজু। হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তাছাড়া ফটিকছড়ি থানার নাজিরহাট এলাকার মন্দাকিনী খালে নোহা হাইস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে গেলে একজন নিহত ও চারজন আহত হয়। নিহত পীরজাদা আখতারুজ্জামানের (৫০) বাড়ি দক্ষিণ কাট্টলীতে। সোমবার ভোরে মাইজভান্ডারের দিকে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্র জানা যায়, আহত চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন হাসিনা বানু (৪৬), মিনহাজ উদ্দিন (২৪), মামুন (২৯) ও ইসমাইল (৪৬)।
বিডি-প্রতিদিন/১২ জুন, ২০১৭/মাহবুব