অবশেষে চট্টগ্রাম মহানগরের আগ্রাবাদ ও পতেঙ্গা এলাকার জলাবদ্ধতার মূল কারণ মহেশখালের অপরিকল্পিত বাঁধ অপসারণ করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। আজ বিকেলে বাঁধ অপসারণ কাজের উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এ সময় বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল খালেদ ইকবাল, চসিক কাউন্সিলর ও প্রকৌশলীসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘স্থানীয় জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বাঁধটি অপসারণ করা হচ্ছে। মহেশখালের বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি অপসারিত হচ্ছে না। তাই সবার পরামর্শক্রমে বাঁধ অপসারণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, মহেশখালের খনন কাজ কাজ শুরু হয়েছে। এটি অব্যাহত থাকবে। যতদিন প্রয়োজন হবে ততদিন খনন চলবে। একই সঙ্গে জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীকে সহযোগিতা করা হবে।’
মেয়র বলেন, ‘কেবল বাঁধের কারণে জলাবদ্ধতা হচ্ছে না। চট্টগ্রাম শহরে একেক জায়গায় একেক কারণে জলাবদ্ধতা হচ্ছে। কারণ নির্ণয় করে উদ্যোগ নিয়েছি। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নও করছি। মহেশখাল সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে যেভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে চাক্তাই খাল সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে তেমনটি হয়নি। এটি আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুফল।’
জানা যায়, ২০১৫ সালে আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকাকে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তায় বাঁধটি দেওয়া হয়। ওই বছরের ২ সেপ্টেম্বর বাঁধের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। কিন্তু এ বাধের সুফল পায়নি পতেঙ্গা ও আগ্রাবদের মানুষেরা। ফলে ভারী বর্ষণের পানি নামতে না পেরে গোসাইলডাঙ্গা, আগ্রাবাদ সিডিএ, ছোটপুল, বেপারি পাড়া, এক্সেস রোড, শান্তিবাগ, হালিশহরসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এরপর বাঁধ ভাঙার দাবি জোরালো হয়। গত ১ জুন নগর ভবনে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন যৌথ সভায় মহেশখালের বাঁধ দ্রুত অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার