বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশের যে অবস্থা বিরাজমান, মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে, দেশে অবিলম্বে নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন। ২০১৪ সালে নির্বাচন হয় নাই। কেউ ওই নির্বাচনে স্বীকৃতি দেয় নাই, একমাত্র আমাদের প্রতিবেশী দিয়েছে। কিন্তু এবার তাদের (প্রতিবেশী দেশ) সুরটাও একটু বদল। তাদের সুরও বদল হয়েছে, তারা বুঝেছে, তারা ভুল করেছে, ঠিক করেনি। সেজন্য এবার বিএনপি যদি না যায়, ২০ দল যদি না যায় এদেশের কোনো নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগ একলা নির্বাচন করতে পারবে না।
রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আজ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
একাদশ নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ও ২০ দল নির্বাচনে যাবো। আমরা বিশ্বাস করি, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমরা জিতবো। সেজন্য আমরা বলতে চাই, নিরপেক্ষ নির্বাচনটা তখনই সম্ভব- হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে। অর্থাৎ নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার। যেটা আওয়ামী লীগ দাবি করেছিলো আমাদের সময়ে (১৯৯৫ সালে)। তখন তত্ত্বাবধায়ক নাম ছিলো, এখন যেকোনো নাম দিতে পারেন। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, হবে না, হতে পারে না।
খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সাথে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, এবার নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে দেশের মানুষ আরেকবারের মতো শিক্ষা দেবে। তারা দেশে যত অপরাধ করেছে, দেশের মানুষের সাথে যত অপরাধ করেছে, কত মা-বোন তাদের ভাই হারিয়েছে, সন্তান হারিয়েছে, স্বামী হারিয়েছে- তাদের কান্না, তাদের আহজারি। কত লোক পঙ্গু হয়েছে, বহু লোক জেলে আছে। তিনি বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেন।
বিএনপি প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগের ছোট ছোট নেতারা যারা আছেন তারা বুঝতেছেন সময়টা কিন্তু সামনে ভালো নয়। আপনাদের সময় ভালো আসছে না। যারা গণনা করেন, গণনাকারীরাও এটা বলেছে। কাজেই ছোট-খাটো নেতারা যারা আছেন, যা কিছু বানিয়েছেন, ওগুলো নিয়ে কেটে পড়ার ব্যবস্থা করেন। বড় নেতারা তাদের ব্যবস্থা করেছে, পকেটে টিকেট নিয়ে ঘুরছে। অবস্থা দেখলেই তারা উড়াল দেবে- আপনাদের দিকে চাইবে না ফিরে।
মূল মঞ্চে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারসহ দক্ষিণের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে ইফতার করেন খালেদা জিয়া।
ইফতারে অংশ নেন বিএনপির সিনিয়র নেতা এজেডএম জাহিদ হোসেন, আবদুল হালিম, হাবিবুর রহমান হাবিব, তাহসিনা রুশদীর লুনা, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আলহাজ্ব সালাহউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।