ঢাকার কাকরাইলে মা-ছেলে হত্যামামলার প্রধান আসামি আল আমিন জনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ ঢাকা মহানগর হাকিম মো. খুরশীদ আলম আসামির এ জাবানবন্দি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্র জানা যায়, আসামি আল আমিন জনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন, বোন পারভিন আক্তার মুক্তাকে তার স্বামী আব্দুল করিম তথ্য গোপন করে প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে করে। বিয়ের আগে করিম জানায় তার স্ত্রী মারা গেছে। তার ছেলেরা বিদেশ থাকে। এ কারণে তার বিয়ে করা প্রয়োজন। কিন্তু কিছুদিন পরে জানতে পারি তার স্ত্রী ও ছেলে আছে। এছাড়া বোন মুক্তাকে বিভিন্ন ভাবে তার সতীন ও তার ছেলেরা যন্ত্রণা দেয়। এ কারণে মুক্তা আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরে এই হত্যার পরিকল্পনা করি। এরআগে ঢাকার নিউ মার্কেট থেকে ‘১০০ টাকায় একটি চাকু কিনে শামসুন্নাহারের কাকরাইলের বাসায় যাই। সেখানে কলিংবেল চাপলে কাজের বুয়া দরজা খুলে দিয়ে রান্না ঘরে চলে যায়। তখন রান্না ঘরের দরজা লাগিয়ে দিয়ে প্রথমে চাকু দিয়ে শাওনকে আঘাত করি এবং তাকে চুপচাপ বসে থাকতে নির্দেশ দেই। এরপর শামসুন্নাহারের ঘরে গিয়ে তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করি। শাওন উঠে গিয়ে তার মাকে রক্ষার চেষ্টা চলালে তাকে আবার আঘাত করি। এরপর শাওন বাসা থেকে বের হয়ে সিঁড়ির কাছে গিয়ে পড়ে যান।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১ নভেম্বর সন্ধ্যায় কাকরাইলের ভিআইপি রোডের ৭৯/১ নম্বর বাসার গৃহকর্তা আবদুল করিমের প্রথম স্ত্রী শামসুন্নাহার করিম (৪৬) ও তার ছেলে শাওনকে (১৯) হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহত শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি ভগ্নিপতি করিম (৫৬), করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমিন আক্তার মুক্তা (২৫) এবং মুক্তার ভাই আল আমিন জনিকে আসামি করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার