নিখোঁজের সাত মাস পরে আশুলিয়ার একটি বাগান বাড়ি থেকে মাটিতে পুতে রাখা অবস্থায় বিল্লাল হোসেন (৫০) নামে এক ইট ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভার নবীনগর র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব ৪ এর সহায়তায় আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের ১নং উত্তর ওয়ালিয়া এলাকার এনায়েত উল্লার বাগান বাড়ির ভিতর মাটিচাপা দেয়া অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা, চাকু ও একটি মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে র্যাব সদস্যরা বুধবার রাতে সাভারের চাপাইন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মুর্শিদা আক্তার শিউলী নামে এক নারীকে গ্রেফতার করে। পরে ওয়ালিয়া এলাকার থেকে প্রধান অভিযুক্ত নাসির উদ্দিনকে গ্রেফতার করে।
নিহত বিল্লাল হোসেন মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানার বরন্দী কাস্তা গ্রামের মৃত গাহের আলীর ছেলে। সে ধামরাইয়ের বাথুলি এলাকার আহাদ ব্রীকসে ইট ও বালু ব্যবসা করতো।
হত্যাকান্ডের ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হলো- মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার চরতিল্লী গ্রামের মৃত খবির উদ্দিনের ছেলে মোঃ নাসির উদ্দিন দিপু (৪৫) ও নাটোর জেলার সিংড়া থানার ডাহিয়া গ্রামের বাদল হকের মেয়ে মুর্শিদা আক্তার শিউলি (৩৪)।
র্যাব ৪ এর কোম্পানী কমান্ডার আব্দুল হাকিম জানান, গত ১৩ এপ্রিল ধামরাইর বাথুলী থেকে স্থানীয় ইট ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন নিখোঁজ হন। পরে নিখোঁজ বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী রোকেয়া বেগম ধামরাই থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন।
নিহতের স্ত্রী রোকেয়া বেগম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন বাড়ী থেকে এক লাখ ১২ হাজার টাকা নিয়ে বের হবার পর সে বিল্লালকে ডেকে তার মুর্শিদা এনায়েত উল্লাহ বাগান বাড়ীতে নেয়। সেখানে ঘরে ঢোকার সাথে সাথেই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে মাদক সেবন করিয়ে হাত পা বেধেঁ হত্যা করা হয় ।
এদিকে র্যাবে কাছে ১৬৪ ধারার জবানবন্দীতে এই বীভৎস খুনের কথা স্বীকার করেছে গ্রেফতাকৃতরা।
বিডিপ্রতিদিন/ ৯ নভেম্বর, ২০১৭/ ই জাহান