১২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে ফুল মিয়া (৪৮) নামে এক প্রতারককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।
রবিবার চট্টগ্রামের দ্বিতীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোতাহির আলী এ রায় দেন। একই রায়ে আদালত তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ ঘটনার পর গ্রেফতার হওয়া ফুল মিয়া হাইকোর্ট থেকে জামিনে বেরিয়ে পালিয়ে যান বলে জানা যায়।
দণ্ডিত কথিত চিকিৎসক (স্থানীয়ভাবে কবিরাজ কিংবা বৈদ্য হিসেবে পরিচিত) ফুল মিয়া কুমিল্লার মুরাদনগরের মৃত দুধ মিয়ার ছেলে। নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার চন্দ্রনগর এলাকায় ছিল তার আস্তানা।
বাদির আইনজীবী বিবেকানন্দ চৌধুরী বলেন, ‘২০০৮ সালের জানুয়ারিতে এক শিশুকে নিয়ে তার পরিবার ফুল মিয়ার শরণাপন্ন হয়। তাবিজের মাধ্যমে চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ধর্ষণ করতে হবে, এমন প্রস্তাব দেন ভণ্ড ফুল মিয়া। এক পর্যায়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। ওই বছরের ২২ জানুয়ারি ফুল মিয়ার বিরুদ্ধে বায়েজিদ বোস্তামি থানায় মামলা দায়ের করেন শিশুটির বাবা। ৫ এপ্রিল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। কিন্তু ৭ জুলাই বাদি অভিযোগপত্রের উপর নারাজি দিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় সংযোজনের আবেদন জানান। আদালতের আদেশে ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ ৮ জনকে সাক্ষী হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করে।’
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন