রংপুর নগরীর ঘাঘটপাড়া এলাকায় শুঁটকি আড়তের সামনে বেপরোয়া বাসের চাপায় জিয়ন(১৫) নামের এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে। তারা বাসচালকের গ্রেফতার দাবি জানিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এসময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের তিন ঘণ্টা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভকারীরা একটি অ্যাসম্বুলেন্সসহ ১০টি বাস ভাঙচুর করে। এ সময় রংপুর, নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর বেলা আড়াইটা থেকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে গাইবান্ধা থেকে ছেড়ে আসা রংপুরগামী ভাই-বোন পরিবহনের একটি বাসের চাপায় ঘটনাস্থলেই নিহত হয় স্কুল ছাত্র জিয়ন। সে জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার লোহানীপাড়া ইউনিয়নের মণ্ডলেরহাট এলাকার জাহিদুল ইসলামের ছেলে। নগরীর কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র জিয়ন ঘাঘটপাড়ায় মেঘলা ছাত্রাবাসে থেকে পড়ালেখা করত।
ওই ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীরা জানান, প্রাইভেট পড়ে বাইসাইকেলে করে ছাত্রাবাসে ফেরার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয় জিয়ন। ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও আশপাশের বিভিন্ন ছাত্রবাসের শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে। তারা বাসচালককে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বিক্ষিাভ করে এবং ভাঙচুর চালায়।
রংপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান সাইফ জানান, ঘাতক বাসটিকে আটক করা হয়েছে। তবে চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে। এছাড়া এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
বিডি-প্রতিদিন/১২ আগস্ট, ২০১৮/মাহবুব