ঢাকায় বুড়িগঙ্গা থেকে উদ্ধার হওয়া লাশটি যশোর জেলা বিএনপির সহসভাপতি আবু বক্কর আবুর। তার ভাগ্নে আশিকুজ্জামান মরদেহ শনাক্ত করে যশোরের সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত সপ্তাহে বিএনপির মনোনয়ন ফরম নিতে আবু ঢাকা গিয়েছিলেন। বিজয়নগর এলাকার একটি হোটেলের সামনে থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর বুধবার সন্ধ্যায় একটি মরদেহ পাওয়া যায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার তেলিঘাট আশ্মিনগেট এলাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে।
ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার ফেসবুকে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। সেখানে নৌকার ওপর শোয়ানে মধ্যবয়সী এক ব্যক্তির মরদেহ দেখা যাচ্ছে। ফেসবুক পোস্টে লেখা হয়, অজ্ঞাতনামা মুসলিম পুরুষ, বয়স অনুমান ৫০ বছর। সন্ধ্যা নাগাদ এই খবর কেশবপুর, যশোর ও ঢাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, ১৮ বা ১৯ তারিখে আবু নিখোঁজ হয়েছিলেন। বুড়িগঙ্গায় পাওয়া মরদেহটি তার কি না তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, যতদুর মনে হচ্ছে এটি আবু চাচার মরদেহ।
তিনি বলেন, কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ মিডফোর্ড হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তারা গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করতে পারবেন। আবু বক্করের ভাগ্নে আশিকুজ্জামান যশোরের সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন মরদেহটি আবু বক্কর আবুর।
বিএনপি নেতা আবু টানা ২০ বছর কেশবপুর বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চিরকুমার আবু বর্তমানে মজিদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি এই ইউনিয়নে পরপর তিনবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
বিএনপি নেতা অমিত বলেন, যেদিন খুলনা বিভাগের প্রার্থীদের সাক্ষাতকারের নির্ধারিত দিন ছিল, তার আগের দিন সন্ধ্যায় বিজয়নগরের একটি আবাসিক হোটেলের নীচ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা আবু বক্কর আবুকে তুলে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে মনোনয়ন বোর্ড শুরু হওয়ার আগে বিএনপি মহাসচিব উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় এ বিষয়টি তুলে ধরেন। এছাড়া বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম নির্যাতনের যে চিত্র নির্বাচন কমিশনে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে, সেখানে আবু বক্কর আবু অপহরণের বিষয়টিও ছিল।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত