২০১১ সালে খুলনায় সরকারিভাবে বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু জমি অধিগ্রহনসহ নানা জটিলতায় দীর্ঘ ৮ বছরেও হাসপাতালটি নির্মিত হয়নি। একইভাবে আটকে গেছে খুলনা অর্থনৈতিক অঞ্চল, টেক্সটাইল পল্লী, আইটি ভিলেজ, পর্যটন কেন্দ্র, সড়ক প্রশস্তকরণসহ নানা প্রকল্প। এ কারনে খুলনার ধারাবাহিক উন্নয়নে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রয়োজন।
রবিবার খুলনা জেলার উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহনে জেলা প্রশাসন ও সাংবাদিকদের মধ্যে মতবিনিময় সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ এবং নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮ এর আলোকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় খুলনার সব উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন, মেরিন একাডেমি, টেকসই বেড়িবাধ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, মোংলা বন্দরের উন্নয়ন ও পাবলিক হল নির্মানসহ ১৩ দফা দাবি জানানো হয়। এছাড়া শিল্পায়নের ক্ষেত্রে গ্যাস সরবরাহ ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়।
পর্যায়ক্রমে খুলনা সিটি করপোরেশন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, উন্নয়ন কর্মী, নাগরিক সংগঠন, এনজিও ও উন্নয়ন সংস্থার সাথে এ বিষয়ে মতবিনিময় করা হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, সকলের মতামতের ভিত্তিতে খুলনার সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এ উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, জমি অধিগ্রহনে জটিলতা ও মামলার কারনে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে বিলম্ব হচ্ছে। তবে আগামী জুনের আগেই আইটি ভিলেজ নির্মান কাজের উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে অনেক তরেণের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। এছাড়া খুলনায় ফ্রিল্যান্সিং ইনস্টিটিউট করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এসএম হাবিব, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বেগম ফেরদৌসী আলী, মকবুল হোসেন মিন্টু, এসএম নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক নেতা এসএম জাহিদ হোসেন, ফারুক আহমেদ, মো. সাহেব আলী, মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন