ঘূর্ণিঝড় ফণী'তে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকায় জনগণকে সতর্ক করতে অব্যাহতভাবে মাইকিং হচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের সর্বত্র। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী (সিপিপি) বরিশাল বিভাগের ২৫ হাজার ৫ জন স্বেচ্ছাসেবক গত দুই দিন ধরে নিরলসভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। প্রচারণা থেকে জনগণকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় শুক্রবার দুপুরেও বরিশালের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সরকারের সকল সংস্থাসমূহকে যার যার অবস্থান থেকে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
অপরদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়াতে বরিশাল নদী বন্দর থেকে সবধরনের নৌযান চলাচলে দ্বিতীয় দিনের নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার।
দ্বিতীয় দিনের মতো নৌ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বেকায়দায় পড়েছেন নৌ পথের যাত্রীরা। দীর্ঘক্ষণ নদী বন্দরে অপেক্ষার পরও গন্তব্যে যেতে না পেরে ফিরে গেছেন যাত্রীরা।
বরিশাল স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ১০টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ বুলেটিন অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোংলা সমূদ্র বন্দর থেকে ৫৪৫ কিলোমিটার এবং পায়রা সমূদ্র বন্দর থেকে ৫৮০ কিলোমিটার দক্ষিন-পশ্চিমে অবস্থান করছিলো। এটি ক্রমেই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা এবং বরিশালের দিকে ধেয়ে আসছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপকূলীয় বিভিন্ন জেলায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফিট উচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে আশংকা স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল