‘আগামী দিনের উন্নয়নে প্রকৃতি ও সমাজকে রক্ষা করার যে অঙ্গীকার, সেটি রক্ষা করতে হবে। আর এক্ষেত্রে বাস্তবায়নই হলো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তরুণ প্রজন্মকে মূখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।’
শনিবার শাহবাগ গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের শওকত উসমান মিলনায়তনে ‘বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি ও সংরক্ষণে তরুণ সমাজের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান উন্নয়ন সমন্বয়ের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান এসব কথা বলেন।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে গ্রিন এনভায়রনমেন্ট মুভমেন্ট এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।সংগঠনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. এ আতিক রহমান, সাবেক সচিব নজরুল ইসলাম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, সঙ্গীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সঙ্গীত শিল্পী প্রিয়াঙ্কা গোপ, জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, অভিনেত্রী তারিন জাহান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্রিন এনভায়রনমেন্ট মুভমেন্টের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মাহি।
আতিউর রহমান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সবাইকে বাঁচাতে হবে। আমাদের সবুজায়নের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। বেশি বেশি বৃক্ষ রোপণ করতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় কাজ হলো মনের সবুজায়ন। মনের সবুজায়নের জন্য তরুণ প্রজন্মকে মূখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধুই অর্থনৈতিক মানুষ নই, আমরা সামাজিক মানুষ। সমাজের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা চলি। এখানে প্রকৃতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সামাজিক জীব হিসেবে আমাদের প্রকৃতিকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে। বিভিন্ন স্কুল, কলেজে জলবায়ু ক্লাব তৈরি করতে হবে। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সকলের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা যেতে পারে।
ড. এ আতিক রহমান বলেন, ‘প্রকৃতি তার আপন গতিতে চলে। আর মানুষের প্রকৃতিকে প্রয়োজন আছে। তাই প্রকৃতিকে রক্ষা করার দায়িত্ব মানুষেরই। প্রকৃতি ও পরিবেশকে সুন্দর ও নির্মল করার দায়িত্ব তরুণদেরই নিতে হবে।’
অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, ‘আমরা যদি উন্নয়ন করতে চাই এবং একে টেকসই করতে চাই তাহলে পরিবেশ সুন্দর রাখতে হবে। আমরা যদি পরিবেশ ঠিক রাখতে না পারি তাহলে টেকসই উন্নয়ন টেকসই হবে না। এক্ষেত্রে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। আর সচেতনতা সৃষ্টির অন্যান্য সাপোর্টও প্রয়োজন। এটি সরকারের পলিসি থেকে শুরু করে আরো বিভিন্ন সহায়তা হতে পারে।’
আলোচনা সভা শেষে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত রচনা ও প্রামাণ্যচিত্র প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। রচনা প্রতিযোগিতায় চারটি পর্যায়ে মোট ১৪ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। প্রামাণ্য চিত্রে বিজয়ী তিনজনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব