বরিশালের হিজলায় ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে বাল্যবিবাহ সম্পাদন করায় বর ও তার বাবাসহ ৩ জনকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন সরদার বাড়িতে এই অভিযানের সময় বাল্যবিবাহ পণ্ড করে দেন হিজলার ইউএনও’র নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দণ্ডিতরা হলেন- মুলাদীর কাজীরচর ইউনিয়নের বড়ইয়া নলিকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ও বরের বাবা জাকির ফকির, তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে বেল্লাল ফকির এবং কনের মামা হিজলা উপজেলার খুন্না গবিন্দুপুর গ্রামের বাসিন্দা নুরুল আমিন।
হিজলার ইউএনও মো. আমীনুল ইসলাম জানান, গত বুধবার মুলাদী বাজারে কাজী অফিসে ১৭ বছর ৬ মাস বয়সের বেল্লাল ফকিরের সাথে প্রাপ্ত বয়স্ক এক মেয়ের বিবাহের কাবিন রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়। এ সময় একটি ভুয়া জন্মসনদ ব্যবহার করে বেল্লাল ফকিরকে প্রাপ্ত বয়স্ক দেখানো হয়। গোপনে কাবিন রেজিস্ট্রি হলেও শুক্রবার নববধূকে বরণের আয়োজন করা হয়। খবর পেয়ে তিনি (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে হাজির হন। এ সময় বরের বাবা এবং বর আইন লঙ্ঘন ও অপরাধের কথা স্বীকার করেন।
আইন লঙ্ঘন করে বাল্যবিবাহ সম্পন্ন করায় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর ধারা ৭(১) ও ৮ অনুযায়ী অপ্রাপ্ত বয়স্ক বর ও তার বাবাকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা এবং বাল্য বিয়ের আয়োজন করায় একই ধারায় কণের মামা নুরুল আমিনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম