১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০৮:৪৯

মধ্যরাতে সহস্রাধিক নেতাকর্মী নিয়ে যুবলীগ অফিসে সম্রাট

অনলাইন ডেস্ক

মধ্যরাতে সহস্রাধিক নেতাকর্মী নিয়ে যুবলীগ অফিসে সম্রাট

জিরো টলারেন্স অবস্থান থেকে বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানী ঢাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ ক্যাসিনো চালানোয় যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এরপরই মধ্যরাতে সহস্রাধিক নেতাকর্মী নিয়ে সংগঠনের কার্যালয়ে আসেন যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। এসময় কাকরাইলে যুবলীগের ওই কার্যালয়ে সম্রাটের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগানও দেন নেতাকর্মীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার রাত দেড়টার দিকে কাকরাইলে দলীয় কার্যালয়ে যুবলীগের মহানগর দক্ষিণ শাখার নেতাকর্মীদের দেখা যায়। কার্যালয়ের ভেতর-বাইরে থেকে ওই নেতাকর্মীরা সম্রাটের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

পরে কার্যালয়ে অবস্থানরত যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট গণমাধ্যমকে বলেন, র‌্যাব খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার পর নেতাকর্মীরা সবাই অফিসে ছুটে এসেছে। তারা এখানেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এর আগে, বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার গুলশানের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে একটি অবৈধ ও দুটি মেয়াদোত্তীর্ণ অস্ত্র এবং ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। প্রায় একই সময়ে ক্যাসিনো ক্লাবের সন্ধানে ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব, শাহজাহানপুরের মুক্তিযোদ্ধা চিত্তবিনোদন ক্লাব, ওয়ান্ডারার্স ক্লাব ও বনানীর আহমেদ টাওয়ারের একটি ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। জব্দ করা হয় বিপুল পরিমাণ মাদক ও অর্থ। তিনটি ক্লাব থেকে অন্তত ১৪২ জনকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন তরুণীও রয়েছেন। অন্যদিকে বনানীর একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ছাড়া রাত ৮টার দিকে বনানীর আহমেদ টাওয়ারের গোল্ডেন ঢাকা বাংলাদেশ নামের একটি ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় র‌্যাব-১। পরে ক্যাসিনোটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। যুবলীগের শীর্ষ পর্যায়ের আরও একাধিক নেতাকে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানা গেছে। এই তালিকায় ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক অনেক নেতার নাম রয়েছে।

উল্লেখ্য, শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ‘মনস্টার’ সম্বোধন করে তাদের পদ থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সভায় যুবলীগের কিছু নেতার কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এর পর থেকেই যুবলীগের এসব নেতার ব্যাপারে খোঁজখবর শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর